২০৪৭ সালে ফের ভাগ হবে ভারত, আশঙ্কা গিরিরাজ সিংয়ের
গিরিরাজ বলেন, গত ৭২ বছরে দেশের জনসংখ্যা ৩৩ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩৫.৭ কোটি। এই জন বিস্ফোরণই দেশের বিপদ ডেকে আনবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের ভবিষ্যত বিপদের কথা মনে করিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। যে সে বিপদ নয়, গিরিরাজের দাবি ২০৪৭ সালে আরও একবার ভারত ভাগ হবে। কারণ দেশের জনসংখ্যার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।
গিরিরাজ বলেন, গত ৭২ বছরে দেশের জনসংখ্যা ৩৩ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩৫.৭ কোটি। এই জন বিস্ফোরণই দেশের বিপদ ডেকে আনবে। একবার ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়েছিল, এবার হবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য।
আরও পড়ুন-আবার লালে লাল JNU, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ফের মুখ থুবড়ে পড়ল AVBP
জি হিন্দুস্থানকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে গিরিরাজ জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। কোনও বিশেষ সম্প্রদায়ের নাম না করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এই জনবিস্ফোরণ দেশের ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনবে। সে সময় ভারতের কী অবস্থা হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
সংবিধানের ৩৫এ ধারার প্রসঙ্গও তুলে আনেন গিরিরাজ। এই ধারা অনুযায়ী কাশ্মীরের মানুষজন বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে সেখানকার কেউ রাজ্যের বাইরের লোকজনকে কোনও সম্পত্তি বিক্রি করতে পারেন না। কোনও মহিলা রাজ্যের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে তিনি সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। ওই প্রসঙ্গ টেনে এনে গিরিরাজ আরও বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। একই জিনিস হবে ২০৪৭ সালেও। গত ৭২ বছরে দেশের জনসংখ্যা ৩৩ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩৫.৭ কোটি। এটাই এখন বড় সমস্যা।
আরও পড়ুন-আগুন থেকে রক্ষা পেতে প্রার্থনাই ভরসা স্থানীয়দের!
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ নিয়ে গলি থেকে সংসদ পর্যন্ত বিতর্ক হোক। শুধু তাই নয় দেশে সংখ্যালঘুদের সংজ্ঞা নতুন করে তৈরি করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি একটি বড় ইস্যু। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে যদি কোনও কড়া ব্যবস্থা না নেওয়া যায় তাহলে দেশ তার কুফল ভোগ করবে। এর জন্য আমাদের সরব হতে হবে।’