Himachal: নজিরবিহীন বর্ষণ হিমাচলে! রেকর্ড বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নদীপাহাড়ের দেশ, বাড়ছে মৃত্যুও...
Heavy Rainfall in Himachal: উত্তাল বর্ষায় বিপর্যস্ত জনজীবন। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর নিশ্চিত করেছেন, এখনও পর্যন্ত অগস্টেই সেখানে নজিরবিহীন রেকর্ড বৃষ্টিপাত ঘটেছে! বিশেষত কাংড়া উপত্যকায়। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় অন্ততপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু ঘটেছে হিমাচলে!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভয়ংকর পরিস্থিতি উত্তর ভারত জুড়ে, বিশেষত হিমাচল প্রদেশে। উত্তাল বর্ষায় বিপর্যস্ত জনজীবন। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর নিশ্চিত করেছেন, এখনও পর্যন্ত অগস্টেই সেখানে নজিরবিহীন রেকর্ড বৃষ্টিপাত ঘটেছে! বিশেষত কাংড়া উপত্যকায়।
আরও পড়ুন: Eastern Ladakh: ভারত-চিন যুদ্ধ লাগতে চলেছে? লাদাখে সেনা পাঠাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক...
মাত্র ২৪ ঘণ্টায় অন্ততপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু ঘটেছে হিমাচলে! সোলানে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে। সিমলায় একটি শিবমন্দির ভেঙে পড়ে মারা যান জনাতেরো। সিমলার ওই মন্দিরের ধ্বংসস্তূপে আরও ১৫ জনের মতো চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা।
মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু দুর্যোগে মৃতদের পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। মৃতের পরিবার ও বাকি দুর্গতদের সবরকম সহায়তা দেওয়া হবে বলে প্রশাসনিক ভাবে জানিয়েছেন তিনি।
অতি ভারী বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়েছে সিমলার এক শিবমন্দির। সোমবার সকালে সিমলার ওই মন্দির ভেঙে পড়ে। মন্দিরে চাপা পড়ে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়। এখনও ভিতরে কমপক্ষে ১৫ জন আটকে রয়েছেন বলে অনুমান। উদ্ধারকাজ চলছে। শ্রাবণ মাস চলছে। এর উপর সোমবার। তাই শিবের মাথায় জল ঢালতে সিমলার সামার হিলসের ওই শিবমন্দিরে ভিড় জমিয়েছিলেন ভক্তেরা। দুর্ঘটনার সময়ে কমপক্ষে ৫০ জন ভক্ত উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মন্দিরটি। ভক্তেরা ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েন।
আরও পড়ুন: Honour Killing: মেয়েকে বাইকের পিছনে বেঁধে রাস্তায় ঘষটে নিয়ে গেল বাবা, হাড়হিম করা দৃশ্য ভাইরাল!
অগস্টের শুরু থেকেই রীতিমতো ভারী বৃষ্টি চলছে হিমাচলে। মেঘভাঙা বৃষ্টি নেমেছে সোলানে। সোলানের মামলিঘ গ্রামে জলের তোড়ে ভেসে এবং ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে সাত জনের। আহতদের উদ্ধার করা হয়েছে। বৃষ্টিতে বেশ কিছু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। জলে ভেসে গিয়েছে গাড়ি। নষ্ট হয়ে গিয়েছে গোশালা। পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। হিমাচল জুড়ে ৪৫২টি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজ স্বাভাবিক ভাবেই বন্ধ।