নিজস্ব প্রতিবেদন: তাপমাত্রা কমছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দূষণও। এই মুহূর্তে কলকাতা শহরের ছবিটা অনেকটা এমনই। পরিবেশবিজ্ঞানীরাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। অথচ বায়ুদূষণ কলকাতার ক্ষেত্রে কোনও দিনই ঠিক এইরকম অ্যালার্মিং হয়ে ওঠেনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যদিও সামগ্রিক ভাবে ভারতের ক্ষেত্রে বায়ুদূষণের ছবিটা বেশ আশঙ্কাজনকই। শুধু বায়ুদূষণের জন্যই গত বছর ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১৬ লক্ষ ৬৭ হাজার মানুষের। এ বছরের 'স্টেট অফ গ্লোবাল এয়ার রিপোর্ট' ('সোগা') এই খবর দিয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে, ভারতে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে সব চেয়ে আশঙ্কাজনক ভূমিকা নিচ্ছে এই বায়ুদূষণ। এর ফলে হৃদরোগ, ডায়াবিটিস, ক্যানসার-সহ ও ফুসফুসের নানা ধরনের জটিলতাও বাড়ছে।


কোভিড-সহ নানা ধরনের সংক্রমণ ছড়াতে বায়ুদূষণের নেতিবাচক ভূমিকা নিয়ে বিশ্ব জুড়েই আলোচনা চলছে। আর ঠিক এই সময়ে এরকম একটি রিপোর্ট উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিল।


বায়ুদূষণের জন্য ভারতে গত বছরে কোন রোগে মৃত্যুর হার কেমন ছিল, রিপোর্টে তা পরিষ্কার। দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৬০ শতাংশ ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে 'ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজঅর্ডার' (সিওপিডি)-এ। ৪৩ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে 'লোয়ার রেসপিরেটরি ইনফেকশনে'। ৩৫ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে 'ইসকিমিক স্ট্রোকে' আর ৩২ শতাংশের মৃত্যুর কারণ ফুসফুসের ক্যানসার ও অন্যান্য হৃদরোগ। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সমীক্ষাতেও দেখা গিয়েছে, এ দেশে প্রতি ৮টি স্বাভাবিক মৃত্যুর ১টির কারণ বায়ুদূষণ।


উদ্বেগের বিষয় হল, বায়ুদূষণ এ দেশে শিশুমৃত্যুরও অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। রিপোর্ট জানাচ্ছে, ঘরে ও বাইরের বায়ুদূষণের জন্য গত বছর ২১ শতাংশ সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যাটা ১ লক্ষ ১৬ হাজার।


রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১০ থেকে ২০১৯, এই ১০ বছরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, ওশিয়ানিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলিতে বায়ুদূষণ ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় একই অবস্থা বাংলাদেশ ও নাইজিরিয়ায়। তবে চিন, তুরস্ক, ব্রাজিল, মেক্সিকো ও ইরানে পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা ভাল হয়েছে।


কিন্তু শীত পড়তেই আমরা যত মজাই করি না কেন, আমাদের সামনে কিন্তু দূষণের বিভীষিকা!


আরও পড়ুন: এবছরের পাস করা ছাত্র-ছাত্রীরা সবচেয়ে ভাগ্যবান : মোদী