নিজস্ব প্রতিবেদন: লাদাখে ভারত এবং চিনা সেনা নিজেদের অবস্থানেই অনড় রয়েছে৷ ফলে আগামী শীতে লাদাখের প্রবল ঠান্ডাতেও সংঘাতের অবস্থান থেকে তারা সরে আসবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পূর্ব লাদাখের তাপমাত্রা এখনই প্রায় শূন্য ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে৷ এপ্রিল পর্যন্ত এরকমই থাকবে৷ অথচ এই অঞ্চলে এই তীব্র ঠান্ডার মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার ভারতীয় সেনা দাঁড়িয়ে রয়েছেন৷ এর ফলে অনেকেই লাদাখের পরিস্থিতিকে সিয়াচেনের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছেন৷


পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতিও কমবেশি অনেকটা সিয়াচেনের মতোই৷ গত জুনে চিনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গালওয়ানে প্রবল ঠান্ডায় প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনা৷ সিয়াচেনের মতো না হলেও লাদাখের এই অংশে শীতকালে তাপমাত্রা মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়৷


বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনা জওয়ানদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে রেশন, কেরোসিন হিটার, জ্বালানি-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ পাশাপাশি বরফে রাস্তা বন্ধ হওয়ার আগেই ট্যাঙ্ক, কামান-সহ যাবতীয় সরঞ্জাম বাহিনীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে৷



সিয়াচেনের মতোই পূর্ব লাদাখেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রায় ৩০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে হাজার হাজার সেনাকে মোতায়েন করে রাখার খরচও অবশ্য প্রচুর৷ একটি হিসাব অনুযায়ী, এ জন্য দৈনিক ১০০ কোটি বা বছরে ৩৬,৫০০ কোটি টাকা খরচ করতে হবে ভারতকে!


হিসাবপত্র না হয় কষা হল। কিন্তু এত খরচ সামলে এবং শীতের মোকাবিলা করে ভারত কি শেষ পর্যন্ত লাদাখে পাকাপাকি ভাবে সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে! 


আরও পড়ুন: বিজয়া দশমীর আগেই বোনাস কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের, উপকৃত হবেন ৩০ লাখ কর্মী