নিজস্ব প্রতিবেদন:  প্রতিরক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছে মোদী সরকার। রাশিয়া, ফ্রান্স, ইজরায়েল-সহ একাধিক দেশ থেকে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম কিনে দেশের নিরাপত্তাকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখেননি নরেন্দ্র দামোদর মোদী। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর এই চেষ্টা আরও তত্পর হয়। রাফাল নিয়ে যতই বিতর্ক থাক না কেন, নিজেদের অবস্থান থেকে এক চুলও সরেননি তিনি। রাফালও উড়েছে ভারতের আকাশে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরে আরও এক ঝাঁক প্রতিরক্ষা চুক্তি করে মোদী বুঝিয়ে দিলেন, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমঝোতা নয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতে এতদিন পর্যন্ত মান্ধাতা যুগের ব্রিটিশ সি কিং হেলিকপ্টার ছিল। যার শুধুমাত্র সার্চ অভিযানের ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু আমেরিকা থেকে ১৫,১৫৭ কোটি টাকার MH 60 Romeo Naval হেলিকপ্টার কেনা হচ্ছে। সাবমেরিন শনাক্ত করে ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এই হেলকপ্টারগুলি। অত্যাধুনিক এই কপ্টারে থাকবে মাল্টি মোড রাডার ও নাইট ভিশন। এখানেই শেষ নয়। এই কপ্টারে থাকবে MK 54 টর্পেডো। লুকিয়ে থাকা সাবমেরিনকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে । একই সঙ্গে ৫৬৯২ কোটি দিয়ে কেনা হচ্ছে AH 64E আপাচে অ্যাটাক চপার। গতকালই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলেন ভারতকে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক চপার দেবে আমেরিকা।


আরও পড়ুন- দিল্লি হিংসায় উস্কানি! দলের বিধায়ক কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধেই সরব গৌতম গম্ভীর 


প্রাক্তন সেনা প্রধান জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরী বলেন, চিনকে সামনে রেখেই এই ধরনের MH 64 helicopter কেনা হচ্ছে। ভারতের  জল সীমান্তে যে ভাবে চিন ঢোকার চেষ্টা  করে মাঝে মাঝে  খবর হয় এর পরিপ্রেক্ষিতে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ। ডোনাল্ড ট্রাম্প এদিন বলেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারসাম্য এবং মুক্ত বাণিজ্য পক্ষে কাজ করবে দুই দেশ। সর্বাঙ্গীন বাণিজ্য চুক্তির পক্ষে সহমত পোষণ করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে তাঁদের। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে আশাবাদী বলে জানান তিনি।