নিজস্ব প্রতিবেদন: তিন বছরের মধ্যে ভারতীয় সেনার ইতিহাসে বড়সড় বদল হতে চলেছে।  সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনাকে বাঁধা হবে একসূত্রে। মঙ্গলবার নিজের লক্ষ্যের কথা স্পষ্টভাবে বলে দিলেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তাঁর কথায়,''শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী তৈরি করাই তাঁর লক্ষ্য। দক্ষতা, যুদ্ধের রসদ ও লোকবলকে একত্রিত করে তৈরি হবে মিলিটারি কম্যান্ড''। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভিকে সিং বলেন,''লোকবলের সর্বোচ্চ প্রয়োগ ও খরচ হ্রাস করে যুদ্ধে এককাট্টা হয়ে যাতে সেনা লড়াই করতে পারে, তা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য।'' কত সংখ্যক  মিলিটারি কম্যান্ড গঠন করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে অন্তত একটা নর্দান থিয়েটার কমান্ড ও ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কম্যান্ডের গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। চিন সীমান্তে মোতায়েন করা হবে ইস্টার্ন কম্যান্ড। পাকিস্তান ও চিন সীমান্তে কম্যান্ডের সঙ্গে  পেননিসুলা কম্যান্ডও থাকবে। এর পাশাপাশি এয়ার ডিফেন্স কম্যান্ড, স্পেস কম্যান্ড, মাল্টি সার্ভিস লজিস্টিকস কম্যান্ড ও ট্রেনিং কম্যান্ডও থাকতে চলেছে। প্রতিটি কম্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে চলেছে বায়ুসেনা। দরকারে দেওয়া হবে অতিরিক্ত যুদ্ববিমানও। 


খরচ কমানোর জন্য জেনারেল রাওয়াতের দাওয়াই, সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিশাল পরিসর রয়েছে। একই জায়গায় রাখা হবে বিভিন্ন বাহিনীর জওয়ানদের। মজুত পণ্যের দেখভাল থেকে একই ধরনের অস্ত্রের ব্যবহারে জোর দেওয়া হবে। যেমন কোনও অস্ত্রের আয়ু ১০ বছর হলে, তা ২০ বছরের জন্য মজুত রাখার বন্দোবস্ত করতে হবে। এর পাশাপাশি দরকারে দ্রুত অস্ত্র তৈরির ব্যবস্থাও তৈরি রাখতে হবে। কম্যান্ড গঠন নিয়ে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বাহিনীর তিন প্রধানের। 


আরও পড়ুন- কে কাকে ব্যবহার করেছে, সেটাই অস্পষ্ট! চিন্ময়ানন্দকে জামিন নিয়ে বলল হাইকোর্ট