নিজস্ব প্রতিবেদন: মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ইমরান খান। কিন্তু কোনভাবেই সাড়া মিলছে না ভারতের তরফে। নয়া দিল্লির স্পষ্ট অবস্থান, সন্ত্রাস এবং আলোচনা এক সঙ্গে চলতে পারে না। বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদে এক অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও একই মন্তব্য করে বলেন, সার্ক (সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কর্পোরেশন) সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে, আমাদের তরফে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সুষমার স্পষ্ট ইঙ্গিত, বয়কট করার পথেই হাঁটবে ভারত। উরি হামলার পর ২০১৬ সার্ক সম্মলনে যেমনটা হেঁটেছিল মোদী সরকার।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন সুষমা স্বরাজ বলেন, “ভারতে সন্ত্রাস মদত যত ক্ষণ না পাকিস্তান বন্ধ করছে, আলোচনার কোনও প্রশ্ন ওঠে না। প্রয়োজন হলে সার্ক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে না ভারত।” উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে উরি হামলার পর পাক মাটিতে হওয়ায় সার্ক সম্মেলন বয়কট করে ভারত। নয়া দিল্লির এই সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপও একই পথে হাঁটে। এর জেরে ভন্ডুল হয়ে যায় সম্মেলন।


আরও পড়ুন- ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন রেহানা, এ বার চাকরি থেকে বরখাস্ত করল বিএসএনএল


করতারপুর করিডর দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নয়া মাত্রা যোগ করবে বলে বিশেষজ্ঞদের যে দাবি, তা খারিজ করে দেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি বলেন, দু দশকের বেশি সময় ধরে করতারপুর করিডর তৈরির জন্য ভারত যে দাবি জানিয়ে আসছিল, আজ সেই দাবি বাস্তবে পরিণত হওয়ায় আমি ভীষণ খুশি। পাকিস্তানও ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। কিন্তু করতারপুর করিডর কখনও দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না। সন্ত্রাস যতক্ষণ না পাকিস্তান সমূলে উত্খাত করছে, আলোচনা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানান সুষমা স্বরাজ। একই সুর শোনা যায় পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের গলায়। পাক সন্ত্রাসকে ইস্যু করেই ইমরান খানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর।


আরও পড়ুন- “ক্রমাগত বদলির হুমকি আসছে”, সত্যপালের বিস্ফোরক মন্তব্যে বিপাকে বিজেপি


তবে, অমরিন্দরের ক্যাবিনেটের বিধায়ক নভজ্যোত্ সিং সিধু পৌঁছিয়ে গেছেন পাকিস্তানে। আজই লাহোরের গুরুদ্বার দরবার সাহিবের সঙ্গে পঞ্জাবের দেরা বাবা নানক পর্যন্ত করতারপুর করিডরের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন হচ্ছে পাকিস্তানে। উপস্থিত রয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং পাক সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজোয়া।