নিজস্ব প্রতিবেদন: সাত সকালে লখনউ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে যেন যুদ্ধের দামামা বেজে উঠল। কারণ, উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলার বঙ্গারমাওয়ের নিকটবর্তী এই  এক্সপ্রেসওয়েতে মঙ্গলবার মহড়া চালাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা। বায়ুসেনা সূত্রে খবর,  একেবারে রাস্তা ছুঁয়ে মহড়া করছে ১৬টি যুদ্ধ বিমান। তবে, সুপার হারকিউলিস নামে পরিচিত বায়ুসেনার সবথেকে আকর্ষণীয় সি-১৩০জে পণ্যপরিবাহী বিমানটি ইতিমধ্যেই এক্সপ্রেসওয়েতে অবতরণ করেছে। ২০১০ সালে এই বিমান ভারতীয় বায়ুসেনায় অর্ন্তভূক্ত হয়। ৯০০ কোটি টাকা খরচ করে কেনা এই বিমানের ২০০ কম্যান্ডো বহন করার ক্ষমতা রয়েছে। বায়ুসেনার সহ প্রধান এয়ার মার্শাল এসবি দেও জানিয়েছেন, “১৩০জে পরিবহণ বিমান এই মহড়ার বিশেষ আকর্ষণ।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে উঠে দাঁড়ানো দেশপ্রেমের মাপকাঠি হতে পারে না : সুপ্রিম কোর্ট


বায়ুসেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুঘণ্টা ও তার বেশি সময় ধরে জাতীয় সড়ক ছুঁয়ে চলবে যুদ্ধ বিমানের  মহড়া। জাতীয় সড়কে বায়ুসেনার এমন মহড়ায় যদিও নতুনত্ব  কিছু নেই। এর আগে ২০১৬-র মে-তে উত্তরপ্রদেশের যমুনা হাইওয়েতে বায়ুসেনার মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান অবতরণ করেছিল। গত নভেম্বরে ৬টি বিভিন্ন কাজে দক্ষ কমব্যাট যুদ্ধবিমান সুখোই-৩০ লখনউ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ে ছুঁয়ে মহড়া চালিয়েছিল।


আরও পড়ুন- জিএসটি মানে 'গব্বর সিং ট্যাক্স', মোদীকে টিপ্পনি রাহুলের


মঙ্গলবারের এই মহড়া বায়ুসেনা এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে। সড়ক এবং পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে খবর, আরও ১২টি হাইওয়েকে যুদ্ধবিমান ওঠা-নামার উপযুক্ত করে তোলার কাজ হচ্ছে। এক্ষেত্রে মূলত ওড়িশা-ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী অধ্যুষিত এবং বন্যা-সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত এলাকার রাস্তাগুলিকে উন্নত করার চেষ্টা চলছে। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় উদ্ধারকার্য চালানোর জন্য এই সব সড়কগুলিকে যাতে বায়ুসেনা ব্যবহার করতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই মহড়া চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি প্রয়োজন হলে যুদ্ধের জন্যও এই সড়কগুলি ব্যবহার হতে পারে বলে সূত্রের খবর।