নিজস্ব প্রতিবেদন- জঙ্গি কাকে বলে! কেনই বা সেনা-জঙ্গি লড়াই হয়! মানুষ কেন মানুষের শত্রু হয়ে ওঠে! এসবের কিছুই জানে না সে। বোঝার মতো বয়সই হয়নি তার। জানে না, বোঝে না বলেই ছুটে আসা বুলেটের তোয়াক্কা না করে চলে এসেছিল বিপদের মুখে। ভারতীয় সেনার জওয়ানরা ব্যাপারটা লক্ষ্য করেই ছুটে যান। বাচ্চাটিকে বাঁচান ভারতীয় সেনার জওয়ান। নিজের জীবনের বাজি রেখে। গুলি-গোলার সামনে থেকে বাচ্চাটিকে বাঁচাতে গিয়ে সেই জওয়ানের প্রাণসংশয় হতে পারত। কিন্তু তিনি পিছপা হননি। বাচ্চাটিকে বাঁচিয়ে কোলে তুলে নেন সেই জওয়ান। তার সেই ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয়। সেনা জওয়ানের স্বার্থত্যাগ ও দায়িত্ববোধ নিয়ে গর্ব করছে দেশবাসী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জম্মু-কাশ্মীরের সোপোর এলাকায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এই অতর্কিত হামলায় এক জওয়ান শহিদ হয়েছেন। তিনজন গুরুতর আহত। হামলায় একজন সাধারণ, নিরপরাধ গ্রামবাসীও প্রাণ হারিয়েছেন। জানা গিয়েছে, যিনি প্রাণ হারিয়েছেন তিনি সম্পর্ক ওই বাচ্চাটির দাদু হন। বাচ্চাটি দাদুর মৃতদেহ দেখে ছুটে গিয়েছিল। তবে দাদুর নিথর দেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেও সে কিছুই বুঝতে পারেনি। সেই সময় ওই জায়গায় সেনা-জঙ্গির লড়াই চলছিল। দুপক্ষ থেকেই প্রবল ফায়ারিং হচ্ছিল। গোলাগুলির মাঝে পড়ে যায় শিশুটি। তখনই নিজের জীবন বাজি রেখে তাকে বাঁচায় ভারতীয় সেনার ওই জওয়ান।


আরও পড়ুন-  ভারতে হামলার জন্য জঙ্গিদের ট্রেনিং দিচ্ছে পাকিস্তানি সেনা! টার্গেট নেতা-মন্ত্রীরা


বাচ্চাচিকে বাঁচানো গেলেও তার দাদু জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। জানা গিয়েছে, নাতিকে সঙ্গে নিয়ে এদিন সকালে দুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন সেই বৃদ্ধ। কিন্তু জঙ্গি হামলার মুখে পড়ে যান। জঙ্গিদের গুলি তাঁর প্রাণ কেড়ে নেয়। এর পর দাদুর নিথর দেহের সামনেই সেই বাচ্চাটি অনেকক্ষম বসে ছিল। সে বুঝতেই পারেনি যে তাঁর দাদু এই পৃথিবীতে আর নেই। এর পর সেনা জওয়ান ওই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে।