প্রবল শীতে বন্দুক হাতে লড়াই মুশকিল, LAC-তে নতুন অস্ত্র মোতায়েন ভারতীয় সেনার
টি নাইন্টি, টি সেভন্টি টু, বিএমপি টু ইনফেন্ট্রি কম্ব্যাট ভেহিক্যাল মোতায়েন করে ভারতীয় সেনা প্রস্তুতি সেরে রাখছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- মে মাস থেকে অশান্তি চলছে। এখনও শান্তির পথ খুঁজছে দুই দেশ। ভারত এক পা এগোলে চিন কোনও না কোনও ইস্যু সামনে ঠেলে পিছিয়ে আসে। আবার চিনের একাধিক প্রস্তাবে সায় না দিয়ে ভারতও অবস্থান থেকে সরতে নারাজ। ফলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দুই দেশের শান্তি প্রক্রিয়া এখনই ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বৈঠকে বসেছিলেন। দুই দেশের সামরিক কর্তারাও আলোচনা সেরেছেন একাধিকবার। কিন্তু সমাধান সূত্র বেরোয়নি। তবে চিনা সেনা যেভাবে গত কয়েক মাসে বারবার ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে তাতে তাদের আর বিশ্বাস করছে না ভারত। আর ভারতীয় সেনার তরফে সাফ জানানো হয়েছে, এবার যদি চিনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে উত্পাত করে তা হলে গুলি-গোলা চলবে।
এবার শীতেও পূর্ব লাদাখে পাহারায় থাকবেন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। আর সে কথা আগেই জানানো হয়েছিল। শীতের প্রস্তুতি সারতে এখন থেকেই খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত করতে শুরু করেছে সেনা। আর এবার প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার ফিট উঁচুতেও চিনা সেনাকে মুখের উপর জবাব দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইন্ডিয়ান আর্মি। ইতিমধ্যে লাদাখের পাহাড়ি এলাকায় নতুন বাঙ্কার বানানা শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। চলছে ছাউনি মেরামতের কাজও। শীতের আগেই সব প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে সেনা। রবিবার লেহ থেকে ২০০ কিমি দূরে চুমার-ডেমচোক এলাকায় ভারতীয় সেনা বিধ্বংসী ট্যাঙ্কার মোতায়েন করল। ওই এলাকায় আগেই সেনা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছিল। আর এবার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে মোকাবিলার জন্য ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা হল।
টি নাইন্টি, টি সেভন্টি টু, বিএমপি টু ইনফেন্ট্রি কম্ব্যাট ভেহিক্যাল মোতায়েন করে ভারতীয় সেনা প্রস্তুতি সেরে রাখছে। এই ট্যাঙ্ক মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও অপারেট করা যাবে। পূর্ব লাদাখে সব থেকে বেশি শীত অনুভূত হয়। এই এলাকায় শীতকালে কখনও রাতের তাপমাত্রা মাইনাস ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়। সঙ্গে হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডা হাওয়া বইতে থাকে। তাই এই এলাকায় সেনার পক্ষে ভারি অস্ত্র নিয়ে পাহারা দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ট্যাঙ্ক এনে তাই সেনার চাপ কিছুটা কমানোর চেষ্টা করল হাই কমান্ড। তবে সেনার তরফে জানানো হয়েছে, জওয়ানরা যে কোনও আবহাওয়ায় লড়াই করার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ওই এলাকায় সেনা গাড়ির সংখ্যাও বাড়াচ্ছে। যাতে দ্রুত প্রয়োজনীয় সামগ্রী সীমান্তে নিয়ে আসা যায়!