ভারতের নোটও ‘মেড ইন চায়না’! চাঞ্চল্যকর তথ্য চিনা সংবাদমাধ্যমের
চিনা সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ওবর প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত অধিকাংশ দেশই তাদের ব্যাঙ্কনোট আমদানি করছে চিন থেকে। বেজিং-এর শিচেং-এ চিনা ব্যাঙ্কনোট প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশনের দাবি, এই মুহূর্তে অন্যতম নোট উত্পাদক দেশ চিন
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের টাকা ছাপাচ্ছে চিন! এমনই বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে নিয়ে এল চিনা সংবাদমাধ্যম 'সাউথ চিনা মর্নিং পোস্ট'। ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, শুধু ভারত নয়, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল এবং পোল্যান্ডের ব্যাঙ্কনোট ছাপানোর দায়িত্বও পেয়েছে বেজিং। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন- আস্তিন গোটাচ্ছেন আলাগিরি, ডিএমকে-তে বড়সড় ভাঙনের ইঙ্গিত!
চিনা সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ওবর প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত অধিকাংশ দেশই তাদের ব্যাঙ্কনোট আমদানি করছে চিন থেকে। বেজিং-এর শিচেং-এ চিনা ব্যাঙ্কনোট প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশনের দাবি, এই মুহূর্তে অন্যতম নোট উত্পাদক দেশ চিন। এই সংস্থার ছ'টি শাখায় মোট ১৮ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। সেই তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের টাঁকশালের শ্রমিক সংখ্যা নামমাত্র। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম টাঁকশাল ব্রিটেনের দে লা রু-তে ৩১০০ শ্রমিক কাজ করেন বলে দাবি ওই সংবাদমাধ্যমের।
সাউথ চিনা মর্নিং পোস্টের এই প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসতেই মোদী সরকারের সমালোচনায় নেমে পড়ে বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর টুইটে জানান, “এই খবর সত্যি হলে, দেশের নিরাপত্তায় আঘাত আসতে পারে। পাকিস্তানের কাছে যে নোট জাল করা সহজ হয়ে যাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।” অরুণ জেটলি এবং ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়লকে সতর্ক বার্তা পাঠান তিনি। তবে, কেন্দ্রের তরফে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সংবাদমাধ্যম ‘কুয়িন্ট’ সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনা সংবাদমাধ্যমের দাবি খারিজ করে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে, সমস্ত নোটই ছাপানো হয় দেশের মাটিতে।
আরও পড়ুন- নয়া দিল্লিতে জেএনইউ-র ছাত্রনেতা উমর খালিদকে লক্ষ্য করে গুলি
চিনা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড (ওবর) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির নোট ছাপাচ্ছে বেজিং। উল্লেখ্য, ওবর প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ভারতও। দক্ষিণ চিন থেকে মায়ানমারকে যুক্ত করতে বাংলাদেশ-চিন-ভারত-মায়ানমার অর্থনৈতিক করিডর (সিল্ক রোড) তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা জুড়ে কমপক্ষে ৬০টি দেশ যুক্ত রয়েছে এই প্রকল্পে।
চিনে মোবাইল ব্যাঙ্কিং এবং ওয়ালেট পরিষেব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় চাহিদা কমেছে ব্যাঙ্কনোটের। তবে, ২০১৩ সাল থেকে বিভিন্ন দেশের ব্যাঙ্ক নোট ছাপানোর দায়িত্ব মেলায় ফের জোরকদমে কাজ চলছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নোট তৈরির মেশিনগুলিতে। চিনা ব্যাঙ্কনোট প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশনের প্রধান লিউ গুইশেং জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে ওবর প্রকল্প শুরু হওয়ার আগে অন্যান্য দেশের নোট ছাপাতো না চিন। কিন্তু এখন এই প্রকল্পের অধিকাংশ দেশের নোটই ছাপাচ্ছে তারা। চিনা সাউথ মর্নিং-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি নেপালের একশো টাকার নোট ছাপানোর দায়িত্ব পেয়েছে বেজিং।
আরও পড়ুন- সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে অশ্রুসজল সুমিত্রা মহাজন