একের পর এক সাইক্লোনের সঠিক পূর্বাভাস, ভারতের মৌসম ভবনের ভূয়সী প্রশংসা বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার
সঠিক সময়ে সাইক্লোনের পূর্বাভাস দিয়েছিল মৌসম ভবন। তাই বলেই বেঁচে গিয়েছে অনেক প্রাণ, এড়ানো গিয়েছে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি। মৌসম ভবনের প্রশংসা করে মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রকে একটি চিঠি দিয়েছে ডব্লুএমও।
অয়ন ঘোষাল: বিশ্বের সুনজরে ভারতের মৌসম ভবন। সঠিক সময়ে সাইক্লোনের পূর্বাভাস দিয়েছিল মৌসম ভবন। তাই বলেই বেঁচে গিয়েছে অনেক প্রাণ, এড়ানো গিয়েছে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি। এই ভাষাতেই ভারতের আবহাওয়া দফতর বা মৌসম ভবনের প্রশংসা করল ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (WMO) বা বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। মূলত সাইক্লোন মোকা আছড়ে পড়ার আগে যে ভাবে সতর্ক করা হয়েছিল, তার জন্যই প্রশংসিত হয়েছে মৌসম ভবন।
ট্যুইট করে এই খবর জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। গত মে মাসে বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়েছিল সাইক্লোন মোকা। সেই ঘূর্ণীঝড়ের গতিবেগ ছিল ১৮০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ২১০ কিমি বেগে আছড়ে পড়েছিল সেই ঝড়। ঠিক সময়ে ঝড়ের ব্যাপারে সতর্কবার্তা দেওয়া না হলে অনেক বেশি মানুষের ক্ষতি হতে পারত বলে মনে করছেন ডব্লুএমও। এই মর্মে টানা পূর্বাভাস ও ক্রমাগত এলার্ট জারি করে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে নিরন্তর সাহায্য করে গিয়েছে ভারতীয় মৌসম ভবন।
প্রশংসা করে মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে ডব্লুএমও-র তরফ থেকে। কিরেণ রিজিজু সেই চিঠি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘গর্বের মুহূর্ত।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাইক্লোন মোকা-র ক্ষেত্রে মৌসম ভবন যে পদ্ধতিতে গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে, তাতে সবদিক থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুধু ভারতেই নয় ১৩টি দেশে সাইক্লোনের সঙ্কেত পাঠায় মৌসম ভবন। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, বাংলাদেশ, মলদ্বীপ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ওমান, ইয়েমেন, ইরান-সহ ১৩ টি দেশকে এ ব্যাপারে সাহায্য করা হয়। প্রসঙ্গত, মোকা সাইক্লোনের জেরে মায়ানমারে ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বাংলাদেশের কোনও মৃত্যু হয়নি। মৌসম ভবনের সতর্কবার্তার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, Ram Mandir: রাম মন্দিরের কাজ প্রায় শেষের পথে! চলে এল মন ভালো করা সব ছবি