নিজস্ব প্রতিবেদন: নৌবাহিনীর জন্য মুম্বইয়ের মাজগাঁও বন্দরে তৈরি হচ্ছে স্করপিন ক্লাসের বেশ কয়েকটি সাবমেরিন। এরপরও ভারতে আসছে আরও উন্নত ৬ সাবমেরিন। ওইসব সাবমেরিন হবে স্করপিন ক্লাস সাবমেরিনের থেকে অন্তত ৫০ শতাংশ বড়। মোট খরচ পড়বে ৫০,০০০ কোটি টাকার বেশি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-জামাতের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন রাহুল, বিজেপি নয়, একথা বলছে সিপিএম  


অত্যন্ত শক্তিশালী ডিজেল ও বিদ্যুতচালিত ওই সাবমেরিন তৈরি করতে আগ্রহী কিনা তা বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। এদের সঙ্গে থাকবে দেশের কোম্পানিগুলিও। নৌবাহিনী সূত্রে একথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে প্রজেক্ট ৭৫-ইন্ডিয়া।



কেমন হবে নতুন এই ৬ সাবমেরিন? নৌবাহিনীর প্রয়োজন অনুযায়ী ওই সাবমেরিনে থাকবে ১২ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। সঙ্গে থাকবে যুদ্ধজাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রও। ওইসব ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা হবে ৫০০ কিলোমিটার। নৌবাহিনী সূত্রের খবর, ১৮টি ভারী টর্পেডো বহন ও ছোঁড়ার ক্ষমতা থাকবে ওই সাবমেরিনের।


স্করপিন ক্লাস সাবমেরিনের সঙ্গে তুলনা করলে নতুন এই ৬ সাবমেরিন হবে অনেকবেশি শক্তিশালী। এক্ষেত্রে ওই সাবমেরিনের প্রধান হাতিয়ার হবে সারফেস টু সারফেস মিসাইল।


উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ওই সাবমেরিন কোনার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়ে দিয়েছে ডিফেন্স অ্যাকুইজেশন কাউন্সিল। পাশাপাশি ওই প্রকল্পের জন্য নৌবাহিনীর এক অফিসারকের নিয়োগও করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।


আরও পড়ুন-রাজ্যের আপত্তি খারিজ, আজই জঙ্গলমহল থেকে উত্তরবঙ্গে সরছে বাহিনী


প্রসঙ্গত, চিন সাগরে চিনা নৌসেনার উপস্থিতির কথা মাথায় রেখে শক্তি বাড়াতে চাইছে ভারত। বর্তমানে ভারতের হাতে রয়েছে ১০০ সাবমেরিন। সেখানে পাক নৌসেনার হাতে রয়েছে মাত্র ২০টি সাবমেরিন। ফলে চিনের কথা মাথায় রেখেই আগাম সতর্কতা নিচ্ছে ভারত।