নিজস্ব প্রতিবেদন- এত খারাপ দিন এর আগে সারা বিশ্ব কখনো দেখেনি। আর সারা বিশ্বের সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক কাঠামোও যে ভেঙে পড়ার মুখে, তা আন্দাজ করাই যায়। করোনা অতিমারী, লকডাউন-এর জেরে এদেশে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। বহু বড় বড় সংস্থাও এই অতিমারির সঙ্গে যুঝতে পারছে না। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে একাধিক সংস্থা। আর তাই কার্যত বাধ্য হয়েই লোক ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছে সেই সব সংস্থাগুলি। ইতিমধ্যে চলতি আর্থিক বর্ষে ভারতের জিডিপি খাদে নেমেছে। তবে খারাপ সময়ের এখানেই শেষ নয়। বিশ্ব ব্যাঙ্কের ইঙ্গিত অন্তত তেমনই জানাচ্ছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি আর্থিক বর্ষে ভারতের জিডিপি আরো ৯.৬ শতাংশ কমতে পারে। অর্থাৎ করোনা মহামারী ও লকডাউন-এর জেরে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ থেকে এবার অতি খারাপের দিকে এগোচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনা মহামারী, দীর্ঘসময়ের লকডাউন-এর জেরে এমনিতেই ভারতীয় অর্থনীতির অবস্থা বেশ খারাপ। এর মধ্যে জিডিপি আরো ৯.৬ শতাংশ পড়লে পরিস্থিতি ঠিক কতটা খারাপ হতে পারে, তা হয়তো আর আন্দাজ করা যাচ্ছে না। ইন্টারন্যাশনাল মনেটারি ফান্ড বা আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারেরর বার্ষিক বৈঠকে এবার দক্ষিণ এশিয়ার আর্থিক অবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এমন অর্থনৈতিক মন্দা প্রত্যাশিত ছিল। তবে চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি হার আরও  ৯.৬ শতাংশ কমতে পারে। ভারতীয় অর্থনীতির এতটা খারাপ অবস্থার কথা অবশ্য আন্দাজ করতে পারেনি বিশ্ব  ব্যাঙ্ক। জানানো হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলিরও আর্থিক মন্দা কাটার সুযোগ নেই।


আরও পড়ুন-  চিন-আগ্রাসন সরিয়ে দিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক


করোনার জন্য বাজারে চাহিদা নেই। শিল্প থেকে শুরু করে পরিষেবা, প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই বেসরকারি নিয়োগ হচ্ছে না। ফলে ২০২১- এ রিজিওনাল গ্রোথ ৪.৫ শতাংশ কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। তবে মাথাপিছু আয় ২০১৯ সালের মতেই থাকতে পারে। অর্থাৎ দেশের মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতির কোনও আশা  আপাতত নেই। দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান হেনস ট্রিমার জানিয়েছেন, ভারতীয় অর্থনীতির এমন বেহাল দশা এর আগে হয়নি। এটি একটি ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি। এমন পরিস্থিতি অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক হতে পারে। বাজারে চাহিদা ও জোগান, দুই-ই ক্ষতিগ্রস্থ। আর তাই ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে।