ব্যুরো: শিনা হত্যার তদন্তে ফের গুরুত্বপূর্ণ সূত্রের হদিশ মিলেছে কলকাতা থেকে।  উদ্ধার হয়েছে শিনার দেহ লোপাটের সময় সঞ্জীবের পড়া জুতো এবং শিনার কিছু গয়না। গতকাল সঞ্জীবকে নিয়ে শহরে তল্লাশিতে আরও কিছু সূত্র পেয়েছে পুলিস। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে পিটার-ইন্দ্রাণীর ব্যবসা, সম্পত্তি এবং আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ও।শিনা হত্যারহসের জাল ক্রমশ গুটিয়ে আনছে মুম্বই পুলিস।  রায়গড়ে উদ্ধার দেহাংশ যে শিনারই, ডিএনএ রিপোর্টের পর তা নিয়ে আর সংশয় নেই।  সোমবার সঞ্জীব খান্নাকে নিয়ে কলকাতায় ঝটিকা সফরে আসে মুম্বই পুলিস। তল্লাশি চালানো হয় সঞ্জীবের বাড়ি এবং অফিসে। তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে জুতো এবং শিনার কিছু গয়না।  মুম্বই পুলিসের দাবি, রায়গড়ে শিনার দেহ পুঁতে রাখার সময় সঞ্জীব ওই জুতো পড়েছিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এছাড়াও সঞ্জীবের চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের অফিস থেকে একটি ল্যাপটপ এবং মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুহাজার বারোর আটই মার্চ ইন্দ্রাণী যে ইমেল করেছিলেন তার সঙ্গে সঞ্জীবের ল্যাপটপের সম্পর্ক আছে বলে অনুমান। আলিপুর আদালত থেকে এই মামলা সংক্রান্ত কিছু নথিও সংগ্রহ করেছে মুম্বই পুলিস। তল্লাসির পর সোমবার রাতেই সঞ্জীবকে নিয়ে মুম্বই ফিরে যায় তদন্তকারী দলটি।


শিনা হত্যার তদন্তের শুরু থেকেই মুম্বই পুলিসের অনুমান ছিল এই খুনের অন্যতম মোটিভ অর্থ। সূত্রের খোঁজে তাই পিটার এবং ইন্দ্রাণীর বিভিন্ন সংস্থার আর্থিক লেনদেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, সম্পত্তি এবং লগ্নির হিসেব নিকেশ খতিয়ে দেখছে পুলিস। তদন্তের জাল ছড়িয়েছে  ব্রিটেন এবং স্পেনেও। আর্থিক বিষয় গুলি খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি টিম গঠন করেছে মুম্বই পুলিস।


শিনা হত্যার তদন্তে এখনও পিটার মুখার্জিকে ক্লিনচিট দেয়নি মুম্বই পুলিস। সোমবার রাতে মুম্বই পুলিস কমিশনার রাকেশ মারিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পিটারকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।