ওয়েব ডেস্ক: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে কেন্দ্রকে উদ্বেগে ফেলে দিল গোয়েন্দা দফতরের রিপোর্ট। রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, রোহিঙ্গারা দেশের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এনডিটিভি-র রিপোর্ট অনু‌যায়ী, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সচিব নৃপেন্দ্র মিশ্র একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। ওই বৈঠকে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির প্রধান এবং গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড উইং অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান। রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্গে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের ‌যোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের মধ্যে লস্কর-ই-তৈবার প্রভাব বাড়ছে। তাদের ব্যবহার করে ভারতকে টার্গেট করা হতে পারে। মায়ানমারে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্তের পিছনে হাফিজ সইদ ও লস্কর-ই-তৈবার মদত রয়েছে বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।


গোয়েন্দারা বলছেন, রোহিঙ্গা জঙ্গিদের অস্ত্র ও অর্থ দিয়েছে সাহা‌য্য করছে লস্কর। ২০১২ সালের জুলাইয়ে করাচিতে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিল হাফিজ সইদ। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সন্ত্রাসের মাথা হুজি প্রধান রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত। ২০১২ সালে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের সভায় হাজির হয়েছিল পাক জঙ্গিরা। পাকিস্তানের আল কায়দা নেতা মৌলানা উস্তাদ ওয়াজির রোহিঙ্গা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিতে গত মাসে থাইল্যান্ড গিয়েছিল। গতমাসে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নিরাপত্তাবাহিনীর উপরে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ৮ জন জওয়ান শহিদ হন। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিদের পথ দেখিয়েছিল কাশ্মীরে বসবাসকারী এক রোহিঙ্গা।


বর্তমানে ভারতে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বসবাস করছেন। জম্মু, হায়দরাবাদ ও নয়াদিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে তারা। বুধবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু টুইট করেছেন,”রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতকে ভিলেন বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। ভারতের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে না।”  


আরও পড়ুন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাঁচাতে 'বুদ্ধং শরণং' দলাই লামার