নিজস্ব প্রতিবেদন : চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন অথচ ইপিএফ অ্যাকাউন্টটি এখনও বন্ধ করেননি বা ট্রান্সফার করেননি। এমন লোকজনের সংখ্যা কম নয়। এদের জন্য ইপিএফও-র এই নিয়মটি জেনে রাখা ভালো।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পরও কেউ ইপিএফ অ্যাকাউন্ট বন্ধ না করলে ওই অ্যাকাউন্টে সুদ জমা হতে থাকে। দেশে এরকম হাজার হাজার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বছরের পর বছর ওই ধরনের ইপিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা না পড়লেও সেখানে সুদ জমা হতে থাকে। এইসব অ্যাকাউন্টের কথা মাথায় রেখে এমপ্লইজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অরগানাইজেশন গত বছর একটি কড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এবার ইপিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা না পড়লেও ‌যে সুদ জমা হবে তা আয়করের আওতায় আসবে।   


প্রসঙ্গত, আয়কর দফতরের আইন অনু‌যায়ী, কাজ ছেড়ে দেওয়ার পর কোনও ইপিএফ অ্যাকাউন্টে ‌যে সুদ জমা পড়ে তার উপরে কর বসবে। অর্থাৎ চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর কেউ ‌যদি ইপিএফ-এ জমা টাকা তুলে না নেন তাহলে ওই টাকার উপরে ‌যে সুদ হবে সেটা আয়করের আওতায় পড়বে।


উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরু ট্যাক্স ট্রাইবুনালের একটি মামলায় বিপুল টাকা দিতে হয়েছে ইপিএফওকে। এক তথ্যপ্র‌যুক্তি সংস্থার কর্মী টানা ২৬ বছর চাকরি করার পর অবসর নেন ২০০২ সালে। কিন্তু তিনি তাঁর ইপিএফের টাকা তোলেন ২০১১ সালে। ইপিএফওকে তাঁকে দিতে হয়েছে ৮২ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে ২০০২ সালের পর থেকে ওই কর্মীর অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া বিপুল সুদের টাকার উপর কোনও কর জমা হয়নি আয়কর দফতরে। এসব সমস্যার কথা মাথায় রেখেই ইপিএফ অ্যাকাউন্টের জন্য নতুন ওই সিদ্দান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।


আরও পড়ুন-'মেয়েদের স্কুলে পুরুষ শিক্ষক কেন?', জিডি বিড়লা কাণ্ডে প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর