নিজস্ব প্রতিবেদন: মুম্বইয়ের ‘গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ায়’ জমায়েত হওয়া ভিড় থেকে দেখা গিয়েছিল ‘ফ্রি কাশ্মীর’ পোস্টার। সোমবার বিক্ষোভ মিছিলে সেই পোস্টার উঁচিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন এক তরুণী। ২৪ ঘণ্টা আগেই ঘটে গিয়েছে জেএনইউ-তে ভয়াবহ হামলা। যার জেরে বিভিন্ন শহরে পড়ুয়ারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। মুম্বইয়ের ইন্ডিয়া গেটেও চলছিল বিক্ষোভ। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, ‘ফ্রি কাশ্মীর’ পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ করে কী বোঝানোর চেষ্টা চলছে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের প্রশ্ন, আসলে বিক্ষোভ কী নিয়ে? ‘মুক্ত কাশ্মীর’ স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন কেন? মুম্বইয়ে এই ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশয় দেওয়া কি উচিত? উদ্ধব সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ফডণবীসের তোপ, “আপনার নাকের ডগা দিয়ে দেশ বিরোধী স্লোগান দিচ্ছে, আর আপনি সহ্য করছেন।” জবাব মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে। তবে, উদ্ধব নন প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সঞ্জয় রাউত। এ ঘটনায় তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে মুম্বই পুলিস।



আরও পড়ুন- বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তথ্য সংক্রান্ত সরকারি প্যানেল থেকে ইস্তফা JNU-র প্রফেসরের


শিবসেনা নেতা রাউত বলেন, অবশ্যই ভারত থেকে কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করার স্লোগান বরদাস্ত করা হবে না। কিন্তু ওই পোস্টারের অর্থ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। মেহেক মির্জা প্রভু নামে ওই তরুণীর দাবি, কাশ্মীরে ইন্টারনেট, মোবাইল এবং অন্যান্য ইস্যু থেকে মুক্ত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাঁর কথায়, গতকাল (৬ জানুয়ারি) সন্ধে ৭টায় গেট অব ইন্ডিয়ায় জড়ো হয়েছিলাম। বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। সিএএ, এনআরসি এবং জেএনইউ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছিল। ‘ফ্রি কাশ্মীর’ নিয়ে তাঁর যুক্তি, ইন্টারনেট বন্ধ করে কাশ্মীরের মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। সেটাই পোস্টারে তুলে ধরা হয়েছে।



উল্লেখ্য, গত অগস্টে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। জম্মু-কাশ্মীরকে দু’ভাগ করে পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়।  কড়া নিরাপত্তা, ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে, চার মাস পর অনেকটাই স্বাভাবিক ফিরেছে জম্মু-কাশ্মীর।