নিজস্ব প্রতিবেদন: হাথরস-কাণ্ডে ফের নতুন তত্ত্ব। ধর্ষণ নয়, অনার কিলিংয়ের শিকার হয়েছে ১৯ বছরের দলিত তরুণীকে। পুলিসকে চিঠিতে একথাই জানাল চার অভিযুক্ত। বিস্ফোরক এই দাবি ঘিরে ফের শোরগোল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিবার বলছে গণধর্ষণ করে খুন। পুলিস-প্রশাসনের দাবি, ধর্ষণের কোনও প্রমাণই মেলেনি। আর এবার সেই হাথরস-কাণ্ডেই উঠে আসছে অনার কিলিংয়ের তত্ত্ব। ১৯ বছরের দলিত তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যুকাণ্ডে গ্রেফতার চার অভিযুক্ত সেই মর্মেই পুলিসকে একটি চিঠি লিখেছে।


প্রধান অভিযুক্ত সন্দীপ ঠাকুরের হাতে লেখা সেই চিঠি বলছে, "ঘটনার দিন আমি ওর (নির্যাতিতা) সঙ্গে দেখা করতে খেতে গিয়েছিলাম। ওর মা আর দাদাও সেখানে ছিল। ও আমাকে ফিরে যেতে বলায় আমি বাড়ি চলে আসি। পরে গ্রামবাসীদের কাছে জানতে পারি আমাদের বন্ধুত্ব নিয়ে ওর মা-দাদা ওকে বেধড়ক মারধর করেছে। জানতে পারি, ও গুরুতর জখম হয়েছে। আমি কখনও ওর গায়ে হাত তুলিনি। ওর মা-দাদা, আমি এবং আরও ৩ জনকে মিথ্যে ঘটনায় ফাঁসিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমরা নির্দোষ। দয়া করে পুরো ঘটনার তদন্ত করুন। আমরা সুবিচার চাই।"


আরও পড়ুন:  মোবাইলে ১০৪টি মিসড কল, হাথরস নির্যাতিতা অভিযুক্তের পূর্ব পরিচিত: UP পুলিস


সন্দীপ ঠাকুর, হাথরস-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। চিঠিটে টিপ-সই রয়েছে ৪ অভিযুক্তেরই। সন্দীপের দাবি, নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁর ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। মাঝেমধ্যে  দেখাও হতো! পুলিস আগেই ধর্ষণের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছে। তবুও এই কাণ্ড নিয়ে লাগাতার তোলপাড় করার চেষ্টা আদতে বিরোধীদের চক্রান্ত, আগেই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। 


উত্তরপ্রদেশের পুলিসের তত্ত্বেই সিলমোহর দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও। আর এবার ধর্ষণের বিরুদ্ধেই বয়ান দিচ্ছে অভিযুক্তরাও। ঠিক কী হয়েছে হাথরসে? বিভ্রান্তি বাড়ছে, বাড়ছে জল্পনাও।