ওয়েব ডেস্ক: রাজ্য তৃণমূলের প্রধান কার্যালয় ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিল খোদ পুরসভা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত কালই তৃণমূলের সহ সভাপতি মুকুল রায় উদ্বোধন করেছিলেন ‘ত্রিপুরা তৃণমূল ভবন’। জানা গেছে কার্যত যুদ্ধকালীন তত্পরতায় ইটের গাঁথনি ও মাথায় নতুন টিনের আচ্ছাদন দিয়ে আগরতলা শিশু উদ্যানের ঠিক পাশেই তৈরী হয়েছিল এই পার্টি অফিস।


তবে, আগরতলা পুরসভার নির্দেশ, বেআইনি ভাবে তৈরি এই গাঁথনি তিন দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে হবে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। মুকুল রায় জানিয়েছেন, ‘‘আমরা সিপিএম পরিচালিত পুরসভার এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক এবং আইনগত ভাবে মোকাবিলা করব।’’


অন্যদিকে, আগরতলা পুরসভার মেয়র প্রফুল্লজিৎ সিংহের বক্তব্য, ‘‘কোনও নির্মাণ তো বটেই, এমনকী পুর এলাকায় বাড়িঘর সংস্কার করতে গেলেও তার জন্য পুরসভার আগাম অনুমতি নিতে হয়। ভবন নির্মাণের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়নি। বেআইনি ভাবে পাকা চালাঘরটি হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘ওই জায়গায় নির্মাণ বন্ধ করার জন্য পুরসভা আগেই নোটিস পাঠায়। তৃণমূল নেতারা শোনেননি। তাই ওটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছি।’’


রনং দেহী মমতা: দলের নেতাদের ও প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিলেন


এই বিষয়ে মুকুল বলেছেন যে ত্রিপুরা সিপিএম আসলে রাজনৈতিকভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছে। কারণ, ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে যে তৃণমূলই সিপিএম শাসিত ত্রিপুরাতে মূল প্রতিপক্ষ তা তারা বুঝে গিয়েছে। এছাড়াও তৃণমূলের এই সহ সভাপতি জানিয়েছেন যে সব দিক থেকেই তাঁরা এই বিষয়টির মোকাবিলা করবেন।


বিষয়টি নিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর বা দলের মুখপাত্র গৌতম দাশ কেউই কোনও মন্তব্য করেননি।