৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ বললেন লালকৃষ্ণ আডবাণী
মোদী সরকারের এই পদক্ষেপে বেজায় খুশি বাজপেয়ী যুগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘লৌহ পুরুষ’ লালকৃষ্ণ আডবাণী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তাঁদের জামানায় জোট সরকারের মন্ত্রী হওয়ায় যে কাজ করে ওঠা হয়নি বাজপেয়ী-আডবাণী জুটির, তা সম্পন্ন হল মোদী-শাহর যুগলবন্দীতে। তাই মোদী সরকারের এই পদক্ষেপে বেজায় খুশি বাজপেয়ী যুগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘লৌহ পুরুষ’ লালকৃষ্ণ আডবাণী।
বিজেপির বর্ষীয়ান এই নেতা এখন দলের পথপ্রদর্শক। মোদা সরকারের ‘এক ভারত, এক সংবিধান’-এর স্বপক্ষে তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংহতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সরকারের ৩৭০ ধারা বিলোপের এই দৃঢ় পদক্ষেপে আমি অত্যন্ত খুশি।’ মোদী সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক উদ্যোগ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী।
প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর জামানায় রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে ৩৭০ ধারাকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে ভারতীয় সংবিধানে ৩৭০ ধারা ‘স্থায়ী’ জায়গা পায়নি। কারণ, সংবিধানের ৩৭০ ধারার ৩ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি চাইলে একটি নির্দেশিকা জারি করে এই ধারাকে সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় করতে পারেন। সংবিধানের ৩৭০ ধারার ৩ নম্বর অনুচ্ছেদের দেখানো পথে হেঁটেই এই ধারাকে বিলুপ্ত করল মোদী সরকার।
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ একেবারেই ভারতের নিজস্ব বিষয়, সাফ জানাল মার্কিন স্বরাষ্ট্র দফতর
সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর জম্মু কাশ্মীর আর লাদাখ— উপত্যকাকে দু’টি কেন্দ্র শাসিত আঞ্চলে ভাগ করার প্রস্তাব এনেছে মোদী সরকার। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন লাদাখের মানুষ একাধিক সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন, তেমনই সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশ আর জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে সরাসরি পদক্ষেপ করতে পারবে কেন্দ্র। যদিও জেডিইউ এবং জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক দল এনসি, পিডিপি কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ঘোরতর বিরোধীতা করেছে।