আকাশপথে কড়া নজরদারি, চিন সীমান্তে নয়া পদক্ষেপ ভারতের
প্রাথমিকভাবে আইটিবিপিকে দেওয়া হচ্ছে ২ ইঞ্জিনের বেশ কয়েকটি কপ্টার। সীমান্তে নজরদারির পাশাপাশি জরুরি অবস্থায় সেনা জওয়ানদের সীমান্তে নিয়ে যাওয়া, মৃত ও আহত জওয়ানদের নিয়ে আসা, রেশন নিয়ে যাওয়ার মতো কাজে ব্যবহার করা হবে ওইসব কপ্টার
নিজস্ব প্রতিবেদন: ডোকা লা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারত-চিন সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত। ইন্দো-টিবেটান বর্ডার (আইটিবিপি) পুলিসে যুক্ত করা হচ্ছে এয়ার উইং। এর ফলে লাল ফৌজের গতিবিধি খুব সহজেই ধরে ফেলতে পারবে আইটিবিপি। সম্প্রতি আইটিবিপিতে আরও ৯টি ব্যাটেলিয়ান যুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।
প্রাথমিকভাবে আইটিবিপিকে দেওয়া হচ্ছে ২ ইঞ্জিনের বেশ কয়েকটি কপ্টার। সীমান্তে নজরদারির পাশাপাশি জরুরি অবস্থায় সেনা জওয়ানদের সীমান্তে নিয়ে যাওয়া, মৃত ও আহত জওয়ানদের নিয়ে আসা, রেশন নিয়ে যাওয়ার মতো কাজে ব্যবহার করা হবে ওইসব কপ্টার।
আরও পড়ুন-সাতসকালেই গঙ্গাসাগরে ভয়ঙ্কর ঘটনা!
আইটিবিপির ওইসব কপ্টার চণ্ডিগড় ও গুয়াহাটির বোরঝর এয়ার বেস থেকে ওঠানামা করবে। কাশ্মীর থেকে সিকিম পর্যন্ত মোট ৩,৪৮৮ কিলোমিটার সীমান্তে নজরদারি চালাবে ওই কপ্টারগুলি। দুই আসনের ওইসব কপ্টার ৮-১০ জন সেনা নিয়ে যেতে পারবে। এছাড়াও অস্ত্র, বিস্ফোরক, রসদও বয়ে নিয়ে যাবে। একবার জ্বালানি ভরলে টানা ২ ঘণ্টা উড়তে পারবে কপ্টারগুলি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে সূত্রে সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়েছে, ভারত-চিন সীমান্তে বেজিং বিভিন্ন সময়ে রাস্তা তৈরি করার চেষ্টা করছে। কখনও তারা ভারতের সীমানায় ঢুকে পড়ারও চেষ্টা করছে। এছাড়াও বিতর্কিত এলাকায় বিভিন্ন ধরনের স্থায়ী কাঠামো তৈরি করার চেষ্টা করছে চিন। ফলে চিনের কোনওরকম সন্দেজনক পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে যাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানো যায়, তাই এয়ার উইং যুক্ত করা হচ্ছে বলে খবর।