নিজস্ব প্রতিবেদন- ৬ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের সোপিয়া থেকে জঈশ জঙ্গি হিদায়ত উল্লা মালিককে গ্রেফতার করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। তার কাছ থেকে একটি Video উদ্ধার করেছে। আর সেই ভিডিয়ো এখন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা আধিকারিকদের ঘুম উড়িয়েছে। হিদায়তের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ভিডিয়ো থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের বাড়িতে নজর রাখছিল জঈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠন। ডোভালের বাড়ি রেকি করে একের পর এক তথ্য জঙ্গি সংগঠনের নেতাদের কাছে পৌঁছে দিত হিদায়ত। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (National Security Advisor) অজিত ডোভালের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে কেন্দ্র। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অজিত ডোভালের (Ajit Doval) বাড়ি ছাড়াও সর্দার প্যাটেল ভবন ও নয়াদিল্লির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনের উপরও নজর রেখেছিল জঈশ। হিদায়তকে জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে নিরাপত্তা আধিকারিকদের হাতে। হিদায়ত সহ বেশ কিছু জঙ্গি পাকিস্তানে জঈশের হ্য়ান্ডলার-এর কাছে সেসব তথ্য চালান করত। ২০২০ সাল থেকে ডোভালের বাড়িসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনে রেকি করছিল Jaish-e-Mohammed-এর জঙ্গিরা। শ্রীনগরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দফতরের উপরও নজর রেখেছিল JeM. 


আরও পড়ুন-  'ফিঙ্গার এইট পর্যন্ত ভারতের নজরদারি চলছে', Rahul Gandhi-কে পাল্টা প্রতিরক্ষামন্ত্রকের


উরিতে সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানে সার্জিকাল স্ট্রাইক ও বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকে ডোভালের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই হামলার জন্য ডোভাল বহুদিন ধরেই জঙ্গিদের টার্গেট বলে মনে করছেন নিরাপত্তা আধিকারিকরা। NSA অজিত ডোভালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। হিদায়ত মালিক জঈশের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিল বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তার ডেরা থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। জেরার মুখে হিদায়ত স্বীকার করেছে, ২০১৯ সালের ২৪ মে কাশ্মীর থেকে দিল্লিতে পৌঁছেছিল সে। ডোভালের বাড়িসহ একাধিক প্রশাসনিক দফতরের ভিডিয়ো তুলে পাকিস্তানে ডক্টর নামের কাউকে পাঠিয়েছিল সে। সেই ভিডিয়ো তোলার পর বাসে চেপে আবার শ্রীনগরে ফিরেছিল হিদায়ত।