নিজস্ব প্রতিবেদন:  বুধবার থেকে উত্তর ভারতে বিপর্যয় বাড়ছে। একাধিক জায়গায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, হরপা বান এবং ধসের জেরে ক্রমশ মৃত্যু সংখ্যা বাড়ছে, নিখোঁজও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে৷ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে উদ্ধারকাজের জন্য৷ কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও প্রতিকূলতার জন্য বিঘ্নিত হচ্ছে সেই কাজ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার হিমাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে বান আসে। ধসে যায় পার্বত্য এলাকার একাধিক বাড়ি ঘর। তলিয়ে যায় বহু প্রাণ। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যসচিব অনিল কাচি জানান সে রাজ্যের সাতটি জেলা ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ লাহুল, স্পিতি, কুলু এবং চাম্বায় এর প্রভাব পড়েছে মারাত্মক। 



তবে এখনই দুর্যোগ কমার লক্ষণ নেই। বরং বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে বলেই জানান হয়েছে। সিমলার আবহাওয়া দফতর লাল সতর্কতা জারি করেছে৷ অর্থাৎ প্রবল থেকে প্রবলতর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে হিমাচলে৷ মানালি-লেহ, কালকা-সিমলা, চন্ডিগড়-মানালি সহ একাধিক জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়েছে ধসের জেরে।


আরও পড়ুন,Bank লাটে উঠলে ৯০ দিনে ৫ লক্ষ, গ্রাহক-স্বার্থে আইনে সংশোধন করছে কেন্দ্রের


উদ্বেগের পরিস্থিতি জম্মু-কাশ্মীরে। বুধবার থেকে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়েছে ভূস্বর্গও। জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখে অতিভারী বৃষ্টির জেরে ভেঙে তলিয়ে গিয়েছে বহু বাড়ি, বহু প্রাণ। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিস্তওয়ার জেলা। দাচান থেকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৭টি মৃতদেহ। এদের মধ্যে দু'জন মহিলা। রাজৌরি জেলাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিস, সেনা এবং উপত্যকার বিপর্যয় মোকাবিলা দলের চেষ্টায় ১৭ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। এখনও নিখোঁজ বহু।