JDU Tussle For Rajya Sabha Seat: রাজ্যসভার আসন নিয়ে JD(U)-র অন্তর্দ্বন্দ্ব, সঙ্কটে মন্ত্রীর ভাগ্য
RCP Singh জেডিইউ-এর সভাপতি থাকাকালীন, Narendra Modi সরকারের মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় সম্প্রসারণের সময় নিজে মন্ত্রিত্ব নেন। এরপরেই তাঁর সঙ্গে লালন সিং-র সমস্যার সূত্রপাত হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিহারের শাসকদল জনতা দল-ইউনাইটেডের (জেডিইউ) শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও রাজ্যসভার জন্য তাদের সব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রী আরসিপি সিং-কে ফের রাজ্যসভায় পাঠানো হবে কি না সেই বিষয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। আরসিপি সিং বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারে জেডিইউ-এর তরফে একমাত্র মন্ত্রী। রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হতে চলেছে আগামী ৭ জুলাই।
জানা গেছে দুটি আসনের মধ্যে একটির জন্য অনিল হেগড়ের নাম প্রস্তাব করেন JDU-র জাতীয় সভাপতি রাজীব রঞ্জন। যদিও অন্য আসনের জন্য কারোর নাম এখনও চুড়ান্ত করা হয়নি। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং লালন সিং সহ JDU-এর শীর্ষ নেতৃত্ব আরসিপি সিং-কে রাজ্যসভায় পাঠাতে রাজি নন। রাজ্যসভার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে, দলের নেতারা নীতীশ কুমারের উপর দায়িত্ব দিতে চাইলেও এই মুহূর্তে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছেননা বলেই জানা গেছে।
রাজা মহেন্দ্রর মৃত্যুর পরে যে আসনটি শূন্য হয় তার জন্য দলের রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে হেগড়ের নাম ঘোষণা করেন লালন সিং। দলের কোটায় একটি আসন রয়েছে। নীতিশ কুমার যেভাবে বিষয়টি থেকে দূরে রয়েছেন তাতে মনে করা হচ্ছে তিনি লালন সিংকেই আরসিপি সিংয়ের ভাগ্য নির্ধারণের দায়িত্ব দিয়েছেন।
আরসিপি সিং জেডিইউ সভাপতি থাকাকালীন, নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় সম্প্রসারণের সময় নিজেকে মন্ত্রিত্বের জন্য এগিয়ে দেন। এরপরেই তাঁর সঙ্গে লালন সিং-র সমস্যার সূত্রপাত হয়। দল তাকে বিজেপির সাথে আলোচনার দায়িত্ব দেয়। দলের তরফে দুটি ক্যাবিনেট এবং দুটি রাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি করা হয়। কিন্তু আরসিপি সিং নিজে মন্ত্রী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময়, লালন সিংও নরেন্দ্র মোদী সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করেন। আরসিপি সিং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর নীতীশ কুমার লালন সিংকে দলের জাতীয় সভাপতির পদ দেন।
আরও পড়ুন: পি চিদাম্বরমের ছেলের বিরুদ্ধে নতুন মামলা, কার্তি চিদাম্বরমের একাধিক সম্পত্তিতে সিবিআই হানা
আরসিপি সিংয়ের পক্ষে কতজন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তার শক্তি দেখাতে সক্ষম হলে তবেই নীতিশ কুমার এবং লালন সিংয়ের কাছে নিজের জন্য সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করতে পারবেন।