লোকসভায় মোদীর পাশেই থাকবেন নীতীশ,সিদ্ধান্ত জেডিইউ-র কর্মসমিতির বৈঠকে: সূত্র
জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোটেই থাকছে জেডিইউ, খবর সূত্রের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোটেই থাকছে জেডিইউ। রবিবার নয়াদিল্লিতে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সর্বসম্মতিতে এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ২০১৯ সালে মহাজোটের বিরুদ্ধে হাত ধরাধরি করে লড়াই করবেন মোদী-নীতীশ।
২০১৯ লোকসভা ও ২০২০ বিহার বিধানসভার ভোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে জেডিইউ-র জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে। শনিবার সন্ধেয় দলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্ত বৈঠকে বসেছিলেন নীতীশ কুমার। জানা গিয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিহারে বড় দাদার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চলেছে জেডিইউ। ৪০ আসনের বিহার লোকসভায় ১৭টি আসন দাবি করতে চলেছে জেডিইউ। উল্লেখ্য, গতবার ২২টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, ২০১৯ সালে বিহারে বড় দাদা তারাই।কারণ বিধানসভায় বিজেপির থেকে আসন বেশি তাদের।
জেডিইউ এই দাবি করলেও বিহারে আসন বণ্টন নিয়ে বিস্তর নাটক হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। গতবারের জেতা ২২টি আসন বিজেপি কি ছেড়ে দেবে? এলজেপি, আরএলএসপি-র মতো ছোট শরিকদের কী হবে? রাজনৈতিক মহলের মতে, জোটধর্ম রক্ষায় বিহারে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কালঘাম ছুটতে চলেছে বিজেপির। সব শরিক দলকে সন্তুষ্ট রাখাই এখন মোদী-শাহের চ্যালেঞ্জ। বর্তমান পরিস্থিতিতে শরিক ছাড়াও উপায়ন্তর নেই গেরুয়া শিবিরের।
২০১৭ সালে মহাজোটের বন্ধন ছেড়ে এনডিএ শিবিরে আসেন নীতীশ কুমার। সাম্প্রতিক সময়ে আরজেডি দাবি করছিল, বিজেপির সঙ্গ ছাড়তেই চাইছেন নীতীশ। তেজস্বী যাদব তো একধাপ এগিয়ে বলেন, ''এবার বিজেপিকেও ঠকাবেন নীতীশ কাকা। তবে মহাজোটের দরজা ওনার জন্যে বন্ধ।'' সেই সব জল্পনা উড়িয়ে নীতীশের দল জানিয়ে দিল, মোদীর সঙ্গেই থাকছে তারা।
আরও পড়ুন- রামের ভরসায় ভারতীয় রেল, আসছে শ্রী রামায়ণ এক্সপ্রেস