ওয়েব ডেস্ক: JNU জট অব্যাহত।  ছাত্র সংসদ সভাপতি কানহাইয়া কুমারের পাশে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। কানহাইয়া কুমার মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে, আজই কানহাইয়া কুমারের পুলিসি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাঁকে আদালতে পেশ করার কথা।  আগামী ২৫ তারিখ একাণ্ডে রিপোর্ট জমা দেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ কমিটি। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন JNUSU-এর সদস্যরা। সঙ্গে ছিলেন ক্যাম্পাসের আবাসিক শিক্ষক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে এঘটনায় ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে একটি ভিডিও। ভিড়ের মধ্যে সেদিন ABVP-র সদস্যরাই JNU-তে পাকিস্তানপন্থী স্লোগান দিয়েছিলেন। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া 'দ্য কনস্পিরেসি' নামে এক মিনিট ৩২ সেকেন্ডের একটি ভিডিওর প্রেক্ষিতে এমনই অভিযোগ বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের। তাদের দাবি, RSS-এর ছাত্র সংগঠন ABVP-র চার সদস্যই পাকিস্তান পন্থী স্লোগান দিয়ে JNU চত্বরে উত্তেজনা ছড়াচ্ছিলেন। ভিড়ের মধ্যে সব ধরনের মানুষ থাকায় পরিস্থিতি চরমে পৌছয় বলে দাবি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের। তবে বাম সমর্থিত JNU-এর ছাত্র সংগঠন AISA-র অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে ABVP। তাদের বক্তব্য, ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া 'দ্য কনস্পিরেসি' নামে ভিডিওটি সম্পুর্ণ সাজানো। সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার লক্ষেই সেটি বানিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।


জেএনইউ কাণ্ডের জেরে রণক্ষেত্র দিল্লির পাতিয়ালা কোর্ট চত্বর। আদালত চত্বরে আক্রান্ত হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রীরা। আজ ধৃত ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারকে আদালতে পেশ করা হয়। অভিযোগ, ছাত্রনেতাকে কোর্টে আনার আগে, আদালত চত্বরে উপস্থিত একদল আইনজীবী আচমকা অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। হাতাহাতি মারধরের পাশাপাশি হুমকিও দেওয়া হয় তাঁদের। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোনও। হামলার শিকার হয়েছেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও। অভিযোগ, জেএনইউয়ের অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রীদের আদালত ছাড়তে বাধ্য করা হয়। অন্যদিকে আদালতের বাইরে এক ব্যক্তিকে মারধর করেন বিজেপি বিধায়ক ও পি শর্মা। বিজেপি বিধায়কের দাবি, ওই ব্যক্তি পাকিস্তানের সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছিল।


জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের আঁচ ছড়ালো যাদবপুরেও।  দিল্লিতে ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রনেতা গ্রেফতারির প্রতিবাদে আজ যাদবপুরে বিক্ষোভ মিছিল করে এসএফআই। ক্যাম্পাস থেকে মিছিল শুরু হয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের বাইরে পথ অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। জেএনইউ কাণ্ডের জেরে এসএফআইয়ের অভিযোগ, আরএসএস এবং এবিভিপির মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অমানবিক অত্যাচার চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।  চার নম্বর গেটের বাইরে অবরোধের সময় প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করা হয়।  অবরোধ চলাকালীন পথচারী ও যাত্রীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। তবে মিনিট কুড়ির মধ্যেই অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।