নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলিসকে আগাম জানানো সত্ত্বেও ক্যাম্পাসে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি। এইমস থেকে ছাড়া পেয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন জেএনইউয়ের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ।  তাঁর সাফ কথা, একেবারে পরিকল্পনা করেই হামলা করা হয়েছে। এই  মার খাওয়ার পরও হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'জেদি মেয়ে, তাই পিছিয়ে আসতে বলব না' মন্তব্য ঐশীর দিদার


ঐশী এদিন বলেন, দুপুর থেকেই ক্যাম্পাসে জমা হতে থাকে বহিরাগতরা।  কয়েকজন ছাত্রকে তাড়া করে মারধরও করা হয়। বিষয়টি থানার এসএইচওকে জানানো হয়। আমার নিজের ফোন থেকে কিছু ছবিও পাঠানো হয় পুলিসকে। বলা হয় কিছু লোক লাঠি. রড নিয়ে ক্যাম্পাসে জড়ো হয়েছে। কিছুক্ষণ পরে পুলিস জানায় বহিরাগতদের হঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।


জেএনইউ ছাত্রসংসদের সভানেত্রী আরও বলেন, এদিন শিক্ষকদের বৈঠকে হামলা করা হয়। গোলমাল দেখে আমি হোস্টেলের দিকে যাচ্ছিলাম।  রাস্তায় একটি চায়ের দোকানের কাছে আমার ওপরে হামলা করা হয়।  আমার সঙ্গে ছিল আমার বোন ও অন্য একজন।  ওখানে আমাকে নির্মমভাবে পেটানো হয়।  হামলাকারীরা বলতে থাকে এখানেই ওদের মেরে ফেল। পরে তারা আমাদের ফেলে চলে যায়। সরকার ক্যাম্পাসে লোক ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ইচ্ছেকৃতভাবে খুনের চেষ্টা হয়েছে।  কী করতে চাইছে সরকার!




আরও পড়ুন-হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নিলে থানায় অভিযোগ জানান, প্রশাসনিক বৈঠকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর


বহিরাগতদের ব্যাপারে পুলিসের কাছে খবর ছিল। তারা বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরেই ক্যাম্পাসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল ।  তারপরেও  কেন এই হামালা এড়ানো গেল না! ঐশী বলেন, পুলিসকে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করা হয়েছে। ওরা বলছিল, ম্যাডাম হাম ক্যা কর সকতে হ্যায়।  হামলায় শিক্ষকদের মদত রয়েছে।



আলোচনার মাধ্যমে সব বিবাদের অবসান করা যেত বলে মন্তব্য করেছেন ঐশী। তিনি বলেন, প্রতিটি রডের আঘাতের জবাব আলোচনার মাধ্যমে দেওয়া যেত। এটাই জেএনইউয়ের সংস্কৃতি।  এই হামলার প্রতিবাদে ৮ জানুয়ারি ধর্মঘট করা হবে।