ওয়েব ডেস্ক : ধৃত JNU ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমারকে আজ আদালতে পেশ করা হবে। গ্রেফতারের প্রতিবাদে রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন JNUSU-এর সদস্যরা। সঙ্গে ছিলেন ক্যাম্পাসের আবাসিক শিক্ষক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।  তাঁদের দাবি ছিল কানহাইয়া কুমারের ওপর থেকে দেশদ্রোহিতার চার্জ প্রত্যাহার করা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অন্যদিকে ১ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের একটি ভিডিওর প্রেক্ষিতে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের দাবি, RSS-এর ছাত্র সংগঠন ABVP-র চার সদস্যই পাকিস্তানপন্থী স্লোগান দিয়ে JNU চত্বরে উত্তেজনা ছড়াচ্ছিলেন। ভিড়ের মধ্যে সব ধরনের মানুষ থাকায় পরিস্থিতি চরমে পৌঁছয় বলে দাবি তাদের। তবে বাম সমর্থিত JNU-এর ছাত্র সংগঠন AISA-র এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে ABVP। তাদের বক্তব্য, ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া দ্য কনস্পিরেসি নামে ভিডিওটি সম্পুর্ণ সাজানো। সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার লক্ষেই সেটি বানিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।


২০০১ সালে সংসদ হামলায় দোষী সাব্যস্ত আফজল গুরুর ফাঁসি নিয়ে গত সপ্তাহে JNU ক্যাম্পাসে একটি বিতর্ক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেসময় সেখানে দেশ বিরোধী স্লোগান দেয় একদল ছাত্র। ঘটনার প্রতিবাদে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায় ABVP। অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে এরকম একটি অনুষ্ঠান করায় আয়োজকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।  বৃহস্পতিবার অজ্ঞাতপরিচয় ছাত্রদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় চার্জ গঠন করে পুলিস। পুলিসের পাশাপাশি ঘটনায় পৃথক তদন্তকমিটি গঠন করে JNU কর্তৃপক্ষ। কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে আট ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয় JNU কর্তৃপক্ষ জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে শুক্রবারই গ্রেফতার করা হয় JNUSU-এর সভাপতি কানহাইয়া কুমারকে। সোমবার পর্যন্ত তাঁকে পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।