Joshimath Sinking Updates: আতঙ্কের যোশীমঠ! বড় ফাটল দেখা দেওয়ায় বন্ধ আউলি রোপওয়ে, স্থগিত চারধাম সড়ক প্রকল্পও...
Joshimath Sinking Updates: শনিবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি এলাকা পরিদর্শনে করেছেন। তিনি দুর্গত এলাকাবাসীর সঙ্গে দেখা করার কথা তাঁর। ইতিমধ্যেই স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স বা এসডিআরএফ-এর ৫০ জনের একটি টিম উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে উঠছে যোশীমঠের পরিস্থিতি। গোটা যোশীমঠ এলাকা জুড়ে বাড়িঘরদোর-রাস্তাঘাটে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে ভুগছেন এলাকাবাসী। উত্তরাখণ্ড প্রশাসনও চিন্তিত, উদ্বিগ্ন। তারা যথাসাধ্য পরিকল্পনা নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজে নেমে পড়েছে। আজ, শনিবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি এলাকা পরিদর্শনে এসেছেন। ইতিমধ্যেই স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স বা এসডিআরএফ-এর ৫০ জনের একটি টিম উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছে।
আরও পড়ুন: RBI: দেশের এই তিন ব্যাংকেই টাকা রাখা সবচেয়ে নিরাপদ! পূর্ণাঙ্গ তালিকা জানিয়ে দিল আরবিআই
দুদিন আগে, বৃহস্পতিবারই জানা গিয়েছিল, একের পর এক বাড়িতে বিশাল আকারের ফাটল দেখা দিয়েছে যোশীমঠে। উত্তরাখণ্ডের এই শহরে ৫৬১টি বাড়ি ক্রমশ বসে যাচ্ছে। ফলে বহু মানুষ ঘর হারাতে পারেন, এমন আশঙ্কা তখনই তৈরি হয়েছিল। বাস্তাবেও তাই হচ্ছে। আতঙ্কে কয়েক হাজার মানুষ। সরকার অবশ্য ইতিমধ্যেই এলাকা খালি করে মানুষজনকে অন্যত্র নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছে। অনেকেই ধারণা, যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। শহরের বহু বাসিন্দার ধারনা, তাঁরা যেন একটা টাইম বোমার উপরে বসে রয়েছেন! ঘরবাড়ি এভাবে বসে যাওয়ায় পুরসভার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সাধারণ মানুষ। যোশীমঠ পুরসভার চেয়ারম্যান শৈলেন্দ্র পাওয়ার সেদিনই বলেছিলেন, সিংধর ও মারওয়াদি এলাকায় বাড়িতে ফাটল শুরু হয়েছে। ফাটল প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে। সিংধরে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কে ক্রমাগত ফাটল বাড়ছে। রাস্তার অবস্থা এমন হয়েছে যে মানুষের চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে সমস্যা মিটিয়ে ফেলার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।
কেন এমন ফাটল?
আরও পড়ুন: Shiva Chouhan: সিয়াচেনের বরফপ্রান্তরে পাহারায় এক নারী! শিবাকে চিনুন...
বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আশঙ্কা, যোশীমঠে সিংধর ও মারওড়ারি মতো জায়গায় মটির নীচের জলস্তর নেমে যাচ্ছে। তার ফলেই এই ফাটল দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাহাড়ের এই এলাকাটি 'সিসমিক জোন ভি'-তে পড়ে। তাই এসব এলাকা মোটামুটি স্পষ্টতই ধসপ্রবণ বলেই চিহ্নিত।
পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে , তাতে যোশীমঠের বাসিন্দাদের হয়তো বসবাসের জন্য ভবিষ্যতে পাকাপাকি ভাবে পিপলকোঠী বা গোচরের মতো পার্শ্ববর্তী এলাকায় চলে যেতে হতে পারে। কেন্দ্র সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে, তারা দেখছে, কেন এভাবে দ্রুত বসে যাচ্ছে যোশীমঠ।