নিজস্ব প্রতিবেদন: লন্ডনে রাষ্ট্রমণ্ডলের সচিবালয় মধ্যস্থতা ও ন্যায়াধিকরণ বা Commonwealth Secretariat Arbitral Tribunal-এর সভাপতি বা সদস্য হওয়ার জন্য সম্মতি দিয়েছিলেন বিচারপতি একে সিকরা। কিন্তু সেই সম্মতি প্রত্যাহার করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। গতবছর তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিল সরকার। সিকরির ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন। অযথা কোনও বিতর্ক চাইছেন না। প্রসঙ্গত, সিকরির ভোটেই অলোক ভার্মার বিদায় নিশ্চিত হয়েছে। তিন সদস্যের কমিটিতে তিনি ছিলেন অন্যতম।      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুপ্রিম কোর্টের প্রধানমন্ত্রী বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের পর দ্বিতীয় প্রবীণ বিচারপতি সিকরি। সূত্রের খবর, প্রতিবছর দু থেকে তিন বার শুনানির জন্য লন্ডনে যেতে হতে পারে। ওই পদের জন্য তাঁকে নির্বাচিত করেছিল কেন্দ্র।  মৌখিকভাবে সিকরির সম্মতি নেওয়া হয়েছিল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে রঞ্জন গগৈ জানান, রবিবার দুপুরে আইনমন্ত্রকে চিঠি লিখে সম্মতি প্রত্যাহার করেন সিকরি। বিরোধীদের দাবি, অলোক ভার্মার অপসারণের পর এই সিদ্ধান্ত। রাহুল গান্ধী টুইটারে লিখেছেন, ''একনায়কতন্ত্র চলছে। বিচারপতিদের বিব্রত করা হচ্ছে। রাফাল দুর্নীতি ঢাকতে কোনও কিছুতেই থামবেন না প্রধানমন্ত্রী। সব ধ্বংস করেই ছাড়বেন। ভয় তাড়া করছে ওনাকে। ভয়ের জন্যই দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে উঠছেন।সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করছেন''।         



বলে রাখি, অলোক ভার্মার অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তিন সদস্যের কমিটি। ওই কমিটিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিচারপতি সিকরি ও কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, সিকরির ভোট কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভার্মার অপসারণের বিরোধিতা করেছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। সূত্রের খবর, এর সঙ্গে সিবিআইয়ের সদ্য প্রাক্তন অধিকর্তার কোনও সম্পর্ক নেই। গতবছর ডিসেম্বরের শুরুতেই নেওয়া হয়েছিল সম্মতি।    


আরও পড়ুন- বাড়তি বলবেন না, দরকারে মুকুলের সঙ্গে কথা বলুন, রাহুল-দিলীপকে নির্দেশ অমিতের


জানা গিয়েছে, লন্ডনে এই কাজের জন্য কোনও বেতন নেই। বছরে এক-দুবার শুনানির জন্য যেতে হয়। লন্ডন বা অন্য কোনও স্থায়ীভাবে জায়গায় থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই।