নিজস্ব প্রতিবেদন: কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। মঙ্গলবার, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাত্ করার পরই এই ইস্তফাপত্র দেন। তিনি ইস্তফাপত্রে লেখেন, গত ১৮ বছর ধরে কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন। কিন্তু সময় এসেছে কংগ্রেস ছাড়ার। গত এক বছর ধরে দলের মধ্যে যে টালমাটাল অবস্থা চলছে, তা উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু এই দলের ভিতর থেকে রাজ্য এবং দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারবে না বলে জানান তিনি। নতুন ভাবে শুরু করতে চান জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ বেলা ১১ টা নাগাদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া প্রধানমন্ত্রী বাসভবনে পৌঁছন। সেখান উপস্থিত থাকেন অমিত শাহ। এর পরই কার্যত জল্পনার অবসান হয়ে যায়। বিজেপিতেই যোগ দিচ্ছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এর সঙ্গে আরও ২০ বিধায়ক ইস্তফা দিতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।


নিজেকে প্রকাশ্যে কংগ্রেসের একনিষ্ঠ সমর্থক বলতে নারাজ তিনি। তাই রাতারাতি টুইটার অ্যাকাউন্টে কংগ্রেসের পরিচয় সরিয়ে শুধুমাত্র জনগণের সেবক এবং ক্রিকেট ভক্ত হিসাবে তুলে ধরেন। শুধু তাই নয়, সময় যত গড়িয়েছে, ধরা ছোঁয়ার বাইরেও চলে গিয়েছেন একদা রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ঠ তথা সিন্ধিয়া পরিবারের যুবরাজ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।


আরও পড়ুন- জল্পনায় জল ঢেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া


মধ্য প্রদেশে কংগ্রেস সরকার পড়ে যাওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। জ্যোরিদিত্যকে রুখতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েন শীর্ষ নেতৃত্ব। কংগ্রেসের মন্ত্রীরা গণইস্তফা দেন। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দ্বিগ্বিজয় সিং জানান, জ্যোতিরাদিত্যের সোয়াইন ফ্লু হয়েছে। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে কথা বলতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে, জ্যোতির বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে দ্বিগ্বিজয় বলেন, “যে সত্যিকারে কর্মী হবে, সে কংগ্রেসেই থাকবে। ”