নিজস্ব প্রতিবেদন: বুলন্দশহর কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্তদের দ্বিতীয় জনকে গ্রেফতার করল যোগীর পুলিস। ইন্সপেক্টর খুনে এ নিয়ে মোট ৩০ জন গ্রেফতার হল। কালুয়া নামে ওই ব্যক্তি পুলিস ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমারকে কুড়ুল দিয়ে একাধিকবার আঘাত করে বলে জানিয়েছে পুলিস। কালুয়ার কুড়ুলের আঘাতে ইন্সপেক্টরের দুটি আঙুল বাদ যায়। মাথায় গুরুতর জখম হন। পরে পরিত্যক্ত জায়গায় পুলিসের গাড়িতে গুলি বিদ্ধ অবস্থায় তাঁর দেহ মেলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- কোরেগাঁও যুদ্ধের বর্ষপূর্তিতে জমায়েত কয়েক হাজার দলিত, হিংসা এড়াতে আঁটাসাঁটো নিরাপত্তা প্রশাসনের


ইন্সপেক্টর খুনে প্রশান্ত নাট নামে প্রথম অভিযুক্তকে গত ২৮ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে সুবোধ কুমারকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর গরুর দেহাংশ পাওয়াকে কেন্দ্র করে বুলন্দশহরে তাণ্ডব চালায় গোরক্ষকরা। প্রায় ৪০০ উন্মত্ত জনতার মুখে কার্যত অসহায় ছিল পুলিস বিগ্রেড। তাদের উদ্দেশে ইট, পাথর ছুড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় এক স্থানীয়ের।


আরও পড়ুন- আত্মসমর্পণ করলেন শিখ নিধনে দোষী সাব্যস্ত সজ্জন কুমার, নিয়ে যাওয়া হল দিল্লির মাণ্ডোলি জেলে


ছবি: টুইটার

তবে, সুবোধ কুমার খুনে জনি নামে তৃতীয় জন অভিযুক্ত এখনও পুলিসের কাছে অধরা। পুলিস সূত্রে খবর, জনিই সুবোধ কুমারের রিভলবার ছিনিয়ে নেয়। বজরং দলের সদস্য যোগেশ রাজের বিরুদ্ধেও হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি যোগীর পুলিস। যোগেশ জানিয়েছে, সে সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ। ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।


গত ৯ ডিসেম্বর পুলিস খুনে অভিযুক্ত জিতেন্দ্র মালিক নামে এক জওয়ানকে জম্মু-কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিসের দাবি, হিংসা ছড়ানোয় মদত দিয়েছিল ওই জওয়ান। যদিও জিতেন্দ্রের পরিবারের দাবি, বুলন্দশহরের ঘটনায় কোনওভাবে জড়িত ছিল না জিতেন্দ্র।