নিজস্ব প্রতিবেদন: বেগুসরাই থেকেই লড়ছেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার। সিপিআই এবং সিপিআইএমকে বাদ দিয়েই বিহারের আসন সমঝোতা করে কংগ্রেস এবং আরজেডি। এর পরই বেগুসরাই থেকে কানহাইয়ার ভোটে দাঁড়ানো অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তবে, শনিবার সিপিআইয়ের তরফে জানানো হয়, কানাহাইয়াকে বেগুসরাই থেকে প্রার্থী করা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


প্রথম থেকেই বেগুসরাই থেকে ভোটে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সিপিআই নেতা কানহাইয়া। কয়েক দফায় আরজেডি নেতা তেজস্বীর সঙ্গে বৈঠকও হয়। এমনকি লালু প্রসাদের সঙ্গেও সিপিআইএম এবং সিপিআইয়ের আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করেন সীতারাম ইয়েচুরি। তবে, সূত্রে খবর, ওই কেন্দ্রে কানহাইয়াকে টিকিট দেওয়ায় বাধ সাধে খোদ তেজস্বী। মনে করা হচ্ছে, ওই এলাকায় কানহাইয়ার জনপ্রিয়তা বেশি হওয়ায় তাঁর ইমেজকে ছাপিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় টিকিট দিতে নারাজ তেজস্বী।


আরও পড়ুন- ফের সেনা কনভয়ে হতে পারে আত্মঘাতী জঙ্গিহানা, বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট


অন্য একটি সূত্র বলছে, বেগুসরাই কেন্দ্রে মুসলিম প্রার্থী দিতে চাইছে আরজেডি। কারণ, ২০০৯ সালে এই কেন্দ্র থেকে জনতা দল ইউনাইটেড-র মনাজ়ির হাসান জয়ী হন। ২০১৪ সালে সামান্য ভোটে বিজেপি প্রার্থী ভোলা সিংয়ের কাছে হেরে গিয়েছিলেন আরজেডি জোট প্রার্থী তনবীর হাসান। তবুও, তনবীরের উপর ভরসা রাখছে আরজেডি। এ বারে তাঁকেই ফের প্রার্থী করা হয়েছে। বিজেপির হয়ে ওই কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন গিরিরাজ সিং।


মহাজোটে সিপিআইকে বাইরে রাখার কারণ বলা হয়েছে, বিহারে সিপিআই এবং সিপিআইএম-র প্রভাব নেই। জনপ্রিয়তা থাকায় সিপিআইএমএল-কে একটি আসন ছাড়া হয়েছে। বিহারের ৪০টি আসনে ১৯টিতে আরজেডি এবং ৯ টিতে কংগ্রেস লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি ১২টির উপেন্দ্র কুশওয়ার রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি ৪, জিতনরাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা ৩, মুকেশ সহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি ২ , সিপিআইএমএল একটি এবং শরদ যাববের লোকতান্ত্রিক জনতা দল একটিতে লড়বে বলে জানা গিয়েছে।