নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্ণাটকে সরকার গড়ার পর মাসখানেক কাটতে চললেও মন্ত্রিত্ব নিয়ে ডামাঢোল অব্যাহত শাসকশিবিরে।মন্ত্রিত্ব বণ্টন নিয়ে অখুশি কংগ্রেসের একাংশ। সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে নিজেদের আপত্তির কথা জানাতে পারেন মন্ত্রীরা। কংগ্রেস নেতাদের ক্ষোভের কথা স্বীকার করেছেন লোকসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খাড়গে বলেন,''সংবিধান ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে অনেক সময় আত্মত্যাগ করতে হয়। সেই লক্ষ্যে কাজ করতে গিয়ে কয়েকজনের প্রত্যাশা মেটেনি। তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে হাইকম্যান্ড। এই সিদ্ধান্তের পিছনে কারণ সম্পর্কেও অবহিত তাঁরা।'' মনোমালিন্যর জেরে কেউ কংগ্রেস ছাড়ছেন না বলেও স্পষ্ট করেছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা। তাঁর কথায়, ''স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক না পাওয়ায় অনেকেই হতাশ। তাঁরা বলেছেন, আমরা দলের প্রতি অনুগত। দল ছাড়ছি না। তবে যে অবিচার হয়েছে, তার ফয়সলা দরকার।'' 




কর্ণাটকে কংগ্রেস জেডিইউ জোট সরকারে অনেকেরই শিকেয় মন্ত্রিত্ব জোটেনি। আর দলের এই সিদ্ধান্ত তাঁরা হতাশ। সেই হতাশার কথা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছে কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতাদের একাংশে। ওই নেতাদের ক্ষোভ প্রশমনে বৈঠক করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে তাতে ফল মেলেনি। কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবকুমার বলেন, ''এটা স্বাভাবিকই। প্রবীণ নেতারা আঘাত পেয়েছেন। সব ধরনের বিকল্পই খোলা রেখেছে দল। দলের হাইকম্যান্ডের উপরে ভরসা রয়েছে।''    


কংগ্রেসের অন্তর্কলহের আঁচ পেয়েছেন  কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীও। তাঁর প্রতিক্রিয়া, কংগ্রেস নেতারা সঠিক সিদ্ধান্তই নেবেন বলে তাঁর বিশ্বাস।  



মুখ্যমন্ত্রী পদে কুমারস্বামী শপথগ্রহণের পরই মন্ত্রিত্ব নিয়ে দুদলের মধ্যে শুরু হয়েছিল দড়ি টানাটানি। অর্থ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়েই ছিল মূল লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিতেছে জেডিএস। বুধবার মন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ করেন ২৫ জন। সিদ্দারামাইয়া জমানার অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরই নামই ছিল না সেই তালিকায়। তাঁদের একাংশই ক্ষুব্ধ। এবার দেখার, দাক্ষিণাত্যের বিদ্রোহ কীভাবে সামাল দেন কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী?


আরও পড়ুন- আরএসএসের মঞ্চে প্রণবের উপস্থিতির পর খতম কংগ্রেস: ওয়াইসি