প্রকাশ্যে ‘নৃশংসভাবে খুন’ করার নির্দেশ দিয়ে বিতর্কে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী
উল্লেখ্য, এইচ প্রকাশ হলেন কুমারস্বামীর জনতা দল সেকুলারের (জেডিএস) এক জন প্রভাবশালী নেতা। অভিযোগ, তাঁকে অপহরণ করে খুন করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘নৃশংসভাবে খুন করার’ হুমকি দিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী! এমনই একটি ভিডিয়ো বার্তায় দেখা গেল কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীকে নজিরবিহীনভাবে ‘এনকাউন্টারের’ নির্দেশ দিতে। এক পুলিস কর্তাকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, এইচ প্রকাশকে যারা খুন করেছে, তাদের নৃশংসভাবে গুলি করে মেরে দিন। কোনও সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুন- বাজপেয়ীর জন্মদিবসে দেশের দীর্ঘতম বগিবিল সেতুর উদ্বোধনে মোদী
উল্লেখ্য, এইচ প্রকাশ হলেন কুমারস্বামীর জনতা দল সেকুলারের (জেডিএস) এক জন প্রভাবশালী নেতা। অভিযোগ, তাঁকে অপহরণ করে খুন করা হয়। সোমবার সাড়ে ৪টে নাগাদ দক্ষিণ কর্ণাটকের মান্দায় প্রকাশের দেহ মেলে। জেডিএস-র এক নেতা জানিয়েছেন, প্রকাশের খুনে অত্যন্ত উদ্বেগে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে মুখ্যমন্ত্রী সাফাই দেন, এটা কোনও নির্দেশ ছিল না। উত্তেজনার বশে বলে ফেলেছিলাম। তাঁর অভিযোগ, এর আগে দুই খুনে অভিযুক্ত হয়ে জেলে ছিল দুষ্কৃতীরা। দু’দিন আগেই জামিনে মুক্ত হয় তারা। জেল থেকে বেরিয়ে ফের খুন করে। দুষ্কৃতীরা জামিনের অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন কুমারস্বামী।
আরও পড়ুন- কথা রাখল আদালত, জানুয়ারিতেই শুরু হচ্ছে রাম মন্দির মামলার শুনানি
তবে, কুমারস্বামীর এ হেন মন্তব্যে অবাক হয়েছেন দলের কর্মীরাও। তাঁদের মতে, কুমারস্বামীকে এ ভাবে রেগে এমন মন্তব্য করতে কখনও দেখা যায়নি। কিন্তু স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর মুখে প্রকাশ্যে ‘এনকাউন্টারের নির্দেশ’ প্রবল বিতর্কের মুখে পড়ে কর্ণাটক সরকার। অস্বস্তিতে পড়েছে জোট সরকারের কংগ্রেসও। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর তরফে পরে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, প্রকাশ একজন অনুগত কর্মী ছিলেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা পুলিসকে।