নিজস্ব প্রতিবেদন: সময়ের সত্ ব্যবহার করতে কোনও ত্রুটি রাখছেন না কংগ্রেস-জেডিএস জোটের শীর্ষ নেতৃত্বরা। ফলও মিলছে হাতেনাতে। বিক্ষুব্ধ এক কংগ্রেস নেতা তাঁর ইস্তফাপত্র ফিরিয়ে নেবেন বলে জানান। এমনকি বাকিদেরও বুঝিয়ে ঘরে ফেরাবেন বলে আশ্বাস তাঁর। তিনি হলেন কর্নাটকের হসকট কেন্দ্রের বিধায়ক এমটিবি নাগরাজ। ১৬ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়কের একজন। এর ফলে সরকার টিকিয়ে রাখার কিছুটা আশার আলো দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বিধায়কদের ইস্তফাপত্র নিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না স্পিকার রমেশ কুমার। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের উপরই এখন নির্ভর করছে কর্নাটকের সরকারের ভবিষ্যত্। কিন্তু এই অল্প সময়ে বিক্ষুব্ধ বিধায়কের মন গলানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সিদ্দারামাইরা। এমটিবি নাগরাজ জানান, আমি এবং সুধাকর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। সব নেতারা বুঝিয়েছেন কংগ্রেসে থাকার জন্য। তাই দলেই এখন রয়েছি। পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেন, “সুধাকর এবং অন্যান্যদের বোঝানোর চেষ্টা কর ইস্তফাপত্র তুলে নেওয়ার জন্য।” তবে, জানা যাচ্ছে বেশ কিছু শর্ত তাঁরা রেখেছেন।


এর আগে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ঘরে ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া মন্ত্রিসভার সব মন্ত্রীদের জোর করে ইস্তফা দেওয়ানো হয়। যাতে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ওই জায়গায় বসানো যায়। এর পরও তাঁদের মন গলানো যায়নি। উলটে স্পিকারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দেয়, বিধায়কদের ইস্তফাপত্র দ্রুত গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত নিক স্পিকার। পরে, স্পিকার রমেশ কুমার সুপ্রিম কোর্টে জানান, এক সঙ্গে এত কটা ইস্তফাপত্র গ্রহণের আগে নিয়ম মেনে খতিয়ে দেখা উচিত। তার জন্য সময়ের প্রয়োজন। এর পর সুপ্রিম কোর্ট ইস্তফা কাণ্ডে স্থগিতাদেশ জারি করে জানিয়ে দেয় মঙ্গলবার এর পরবর্তী শুনানি হবে।


আরও পড়ুন- চোখের নিমেষে ব্রহ্মপুত্র তলিয়ে গেল গোটা একটা স্কুল, দেখুন


বিক্ষুব্ধ বিধায়কের ইস্তফাপত্র স্পিকার গ্রহণ করলে, সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার। শরিক-সহ তাদের ১১৮টি বিধায়কের মধ্যে ১৮ জনের (এর মধ্যে ২ জন নির্দল বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। এবং তাঁরা বিজেপিকে সমর্থন করবেন বলে জানান।) ইস্তফা গৃহীত হয়, তাহলে ১০০ সংখ্যা দাঁড়াবে জোট সরকারের। বিজেপির হাতে ১০৫ বিধায়ক রয়েছে। সঙ্গে দুই নির্দল বিধায়কের সমর্থন মিলতে পারে। সহজই ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করতে পারবে বিজেপি।