কর্ণাটকে আজ আস্থাভোট, কুমারস্বামীকে চাপে রাখতে বিধানসভায় রাতভর ধরনায় বিজেপি বিধায়করা
রাজনৈতিক মহলের মতে, কর্ণাটকে সংখ্যার নিরিখে অনেকটাই পিছনে জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্ণাটকে কি শেষপর্যন্ত সরকার গড়বে বিজেপি? নাকি আস্থা ভোটে উতরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের হইচইয়ে আস্থা ভোট ভেস্তে যাওয়ার পর আজ এনিয়ে ভোটাভুটি হবে বিধানসভা। শুক্রবার বেলা দেড়টার মধ্যে কুমারস্বামীকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল বজুভাই বালা।
আরও পড়ুন-রাজ্যে বেকারত্ব কমেছে ৪০%, বানতলায় কর্মদিগন্তে ৫ লক্ষের চাকরি: মমতা
এদিকে, আস্থা ভোট করাতে মরিয়া বিজেপি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা সহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা একপ্রকার তাঁবু খাটিয়ে দিয়েছেন বিধানসভায়। বৃহস্পতিবার রাতভর সেখানেই ছিলেন তাঁরা। টেবিল পেতে খাওয়াদাওয়া সেরে মেঝেতে বিছানা পেতে ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা। সাতসকালে প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়ে পড়েন বিজেপি বিধায়করা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, কর্ণাটকে সংখ্যার নিরিখে অনেকটাই পিছনে জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকার। আস্থা ভোট হলে হার প্রায় নিশ্চিত জোটের। বিজেপির দাবি, তাদের কাছে ১০৫ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু জেডিএস-কংগ্রেসের রয়েছে ৯৮জন। সে কারণে শাসকপক্ষ আস্থা ভোট এড়াতে সময় ব্যয় করছে।
আরও পড়ুন-বন্যায় বিপন্ন! ভাইরাল এই ছবিতে ফুটে উঠল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের যন্ত্রণা
লোকসভা ভোটের পরই কর্ণাটকের দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। তাদের মদতেই কংগ্রেস-জেডিএস জোটের ১৫ জন বিধায়ক হয়ে উঠেছে বিদ্রোহী। মুম্বইয়ে ওই বিধায়কদের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি কংগ্রেস নেতা শিবকুমারকে। তাঁদের ইস্তফাপত্র নিতে চাননি স্পিকারও। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিদ্রোহীরা। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, বিধায়কদের ইস্তফাপত্র গ্রহণের বিষয়টি তাঁর এক্তিয়ারভূক্ত। একইসঙ্গে আদালত জানিয়ে দেয়, আস্থা ভোটে তাঁদের হাজিরা না দিলেও চলবে।