ওয়েব ডেস্ক: মাসখানেকের ঝড়তোলা প্রচারের পর ভোটগ্রহণ মিটেছে নির্বিঘ্নেই। মঙ্গলবার জানা যাবে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফল। তার আগে বেশ চিন্তায় সব শিবিরই। কারণ বুথফেরত সমীক্ষা বলছে ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে কর্ণাটক বিধানসভা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কর্ণাটকে লড়াই মূলত ত্রিমুখী। কংগ্রেস ও বিজেপি ছাড়াও লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে এইচডি দেবেগৌড়ার দল জেডি(এস)-ও। ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভার ২টি আসনে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফলে ভোট হয়েছে ২২২টি আসনে। সেক্ষেত্রে সরকার গড়তে ১১২টি আসন পেতেই হবে কোনও দলকে। 


এখানেই পড়েছে গেরো। কারণ বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, কর্ণাটকে ১০০-র বেশি আসন পাবে না কেউই। সাতটির মধ্যে ৫টি বুথফেরত সমীক্ষায় বলছে ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে কর্ণাটক বিধানসভা। বাকি ২টিতে বিজেপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে। তাত্পর্যপূর্ণভাবে জেডি(এস)-কে ২৫ - ৩৭-এর মধ্যে আসন দিয়েছে সবাই। 


পঞ্চায়েত অশান্তির প্রতিবাদে রাজপথে বিজেপি-কংগ্রেস, রিপোর্ট রাজ্যপালকেও



২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কর্ণাটকে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। পাঁচ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। যদিও তার আগে সেরাজ্যে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। ২০০৮ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দক্ষিণের প্রথম রাজ্য হিসাবে কর্ণাটকে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। তবে সেই পর্ব সুখের হয়নি। ৫ বছরে ৩ বার মুখ্যমন্ত্রী বদলাতে হয় বিজেপিকে। কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে জেলবন্দি থাকতে হয় ইয়েদুরাপ্পাকে। যদিও তিনিই এবার কর্ণাটকে বিজেপির মুখ।


রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৯ - লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটকের ফল বিজেপি ও কংগ্রেস দুই দলের কাছেই বড় পরীক্ষা। একদিকে যেমন পঞ্জাব দখলের পর কর্ণাটক ধরে রেখে দেশজুড়ে ফের শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করবে কংগ্রেস। অন্যদিকে দক্ষিণে ফের নিজেদের শক্তিশালী করতে কর্ণাটকে ক্ষমতাদখল বিজেপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্ণাটকে বিজেপি জিতলে দেশে একটি মাত্র 'বড় রাজ্য'-এ কংগ্রেসের সরকার থাকবে। সেক্ষেত্রে 'কংগ্রেস মুক্ত ভারত'-এর দিকে আরও এক ধাপ এগোবেন নরেন্দ্র মোদী। 


অনিশ্চয়তার আর ডামাডোলের মধ্যে শিকে ছিঁড়তে পারে এইচডি কুমারস্বামীর কপালেও। অনেকের ধারণা, কংগ্রেস বা বিজেপি থেকে বেশি আসন পেয়ে সরকার গড়তে পারে জেডিএসও। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হবেন কুমারস্বামীই। কর্ণাটক নির্বাচনের প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ  করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। নির্বাচন হারলে অবশ্যই তাঁর নেতৃত্বের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।


উলটো দিকে বিজেপি হারলে মোদীর সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলবে বিরোধীরা। জেডি(এস) জিতলে হাওয়া লাগবে তৃতীয় ফ্রন্টের পালে। তবে সত্যিই ফল ত্রিশঙ্কু হলে জেডি(এস) কোন দিকে যায় সেদিকে নজর থাকবে সবার। এতগুলি সমীকরণের কোনটি বাস্তব হবে তা অবশ্য জানা যাবে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ভোটগণনা শুরুর পর।