কংগ্রেসের সঙ্গে সাক্ষাতে অনীহা রাজ্যপালের, কৌশল নির্ধারণে বৈঠকে অমিত
কর্ণাটকে ধাক্কা বিজেপিকে রুখতে জেডিএসকে পাশে নিল কংগ্রেস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্ণাটকে কোন দলকে সরকার গড়তে ডাকবেন রাজ্যপাল? জেডিএস-কংগ্রেস জোট না বিজেপি? তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। জেডিএসকে সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। সেই মতো লিখিত সমর্থনপত্র নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয় তারা। কিন্তু বেঙ্গালুরুর রাজভবনে প্রবেশের অনুমতিই পেল না কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। এর পিছনে বিজেপি কলকাটি নেড়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।
কর্ণাটকে ২২২টি আসনের মধ্যে ৭৫টি জিতেছে বিজেপি। ২৯টি আসনে এগিয়ে তারা। ফলে ম্যাজিক সংখ্যা ১১২ ছুঁতে পারছেন না মোদী-শাহ। এই প্রেক্ষাপটে জেডিএসকে মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দিয়ে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। সোনিয়া গান্ধীর প্রস্তাব দেবগৌড়া মেনে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। জেডিএস নেতা দানিশ আলি বলেন,''কুমারস্বামীই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। বিজেপির মোকাবিলায় আমরা সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব।''
ভোটের ফলের নিরিখে বৃহত্তম দলকেই সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল, এটাই দস্তুর। অনেকেরই মত, এক্ষেত্রে বিজেপিকে ডাকতে পারেন রাজ্যপাল। জেডিএস বা কংগ্রেসের বিধায়ক ভাঙিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারে বিজেপি। ফলে খেলা এখনও বিজেপির হাত থেকে বেরিয়ে যায়নি। কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্যপাল দেখা না করতে চাওয়ার পিছনে বিজেপি কলকাঠি নেড়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সাংবাদিক বৈঠক বাতিল করে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। রাজনৈতিক কারবারিরা মনে করছেন, সাম্প্রতিককালে একাধিক রাজ্যে শেষ হাসি হেসেছেন অমিত শাহ। বলাই বাহুল্য, কর্ণাটকও এত সহজে ছেড়ে দেবেন না তিনি। ফলে নাটক আরও টানটান হতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন- বিজেপির থেকে বেশি ভোট পেয়েও কর্ণাটকে ভরাডুবি কংগ্রেসের