নিজস্ব প্রতিবেদন: হনুমানের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। বাড়িতে যখন তখন ঢুকে পড়া ছাড়াও চাষের ক্ষেতে হনুমানের দাপাদাপিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছিল। হাজার চেষ্টার পরও হনুমানের উপদ্রব কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছিল না। ফসলের ক্ষতির পরিমাণ দিনের পর দিন বেড়েই চলছিল। শেষমেশ বাঘের ভয় দেখিয়ে হনুমান তাড়ানোর ফন্দি আঁটেন এক কৃষক। কৌশলে কাজও হয়। কিছুটা হলেও কমে হনুমানের তাণ্ডব। এর পর ওই কৃষকের দেখাদেখি গ্রামের বাকি বাসিন্দারাও একই কৌশলে বাঘের ভয় দেখিয়ে হনুমান তাড়াতে শুরু করেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী ভাবছেন, হনুমানের উপদ্রব থেকে বাঁচতে গ্রামবাসীরা বাড়িতে বাঘ পুষতে শুরু করেছেন! মোটেই না। এলাকার কুকুরদের ধরে ধরে তাদের গায়ে বাঘের মতো ডোরা-কাটা দাগ এঁকে দিয়েছেন গ্রামবাসিরা। আর তাতেই কমেছে হনুমানের উপদ্রব।



আরও পড়ুন: ৯টা জিন্সের প্যান্ট একসঙ্গে পরে পালাতে গিয়ে ধৃত যুবতী! ভাইরাল হল ওয়াশরুমের ভিডিয়ো


অদ্ভুত এই কৌশল কাজে লাগিয়ে হনুমানের উপদ্রব ঠেকিয়েছেন কর্ণাটকের তীর্থহল্লির নল্লুর গ্রামের বাসিন্দারা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, নল্লুরের শ্রীকান্ত গৌড়া জানান, ছোটবেলায় তাঁর বাবার থেকে জেনেছিলেন, বাঘ দেখলে এলাকা ছেড়ে পালায় হনুমানের দল। প্রথমে খেলনা বাঘ দিয়েও হনুমান তাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে খুব বেশি দিন নিশ্চিন্তে থাকা যায়নি। তাই শেষমেশ তাঁর প্রিয় কুকুর বুলবুলের সারা গায়ে বাঘের মতো ডোরা-কাটা দাগ এঁকে দেন শ্রীকান্ত। গায়ে ডোরা-কাটা দাগ নিয়ে বুলবুল ‘রয়্যাল বেঙ্গল ডগ’ হয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াতেই ফল মেলে হাতেনাতে। দেখতে দেখতে হনুমানের উপদ্রব কমে আসে ওই এলাকায়।