নিজস্ব প্রতিবেদন : হাই ভোলটেজ কর্ণাটক নির্বাচনে শুরুর দিকে কয়েটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটের ওপর ভোটগ্রহণ শান্তিতেই চলছে। বেলা ৩টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৬ শতাংশ। সকাল থেকে একে একে ভোট দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জেডি(এস) প্রধান এইচ ডি দেবেগৌড়া। বিয়ায়ী মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইয়েদুরাপ্পাও ভোট দিয়েছেন নিজেদের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে। প্রত্যেকেই তাঁদের দলের জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার সকাল থেকেই কর্ণাটকের প্রতিটি বুথেই ভোটারদের লাইন দেখা যায়। তবে তারই মাঝে হুবলি ও হলেনারাসিপুরাতে কয়েকটি বুথে ইভিএমে সমস্যা দেখা দেয়। যদিও, পরে সমস্যা মিটে যায়।


একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে শনিবার ভোট দিচ্ছে কর্ণাটক। ২২৪টি আসনের মধ্যে এদিন ভোটগ্রহণ হচ্ছে ২২২ আসনে। জয়নগর আসনে বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সেখানে পিছিয়ে গেছে ভোট। অন্যদিকে রাজরাজেশ্বরী নগরে একটি ফ্ল্যাট থেকে ১০ হাজার ভোটার কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। ফলে, সেখানে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। আগামী ২৮শে মে সেখানে নতুন করে ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। ফল বেরবে ৩১শে মে। তবে বাকি ২২২টি আসনে ভোটদান হচ্ছে শনিবারই। সেখানে ফল ঘোষণা ১৫ই মে।



কর্ণাটক নির্বাচনে মূল লড়াই কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। তৃতীয় শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার দল জেডি(এস)। অধিকাংশ সমীক্ষাই বলছে দক্ষিণের এই রাজ্যে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হতে চলেছে। ফলে জেডি(এস)-ই এখানে কিং মেকার হয়ে উঠতে পারে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।


২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটকে ১৩২টি বিধানসভা আসনে এগিয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেস ৭৭টি আসনে এবং জেডি(এস) ১৫টি আসনে এগিয়েছিল। মোদী হাওয়ায় প্রায় ৪৩ শতাংশ ভোট পায় বিজেপি। কংগ্রেস পায় ৪০ শতাংশ ভোট। একধাক্কায় অর্ধেক হয়ে যায় জেডি(এস)-এর প্রাপ্ত ভোটের হার।


 



তবে, ২০১৩-র বিধানসভা নির্বাচনে ২২৪টি আসনের মধ্যে ১২২টি আসন পেয়ে কর্নাটক দখল করে কংগ্রেস। বিজেপি এবং জেডি(এস), দু'দলই পায় ৪০ আসন। প্রায় ৩৭ শতাংশ ভোট পায় কংগ্রেস। বিজেপি এবং জেডি(এস) ২০ শতাংশ ভোট। ইতিহাস বলে ১৯৮৫ সালের পর থেকে পরপর দু'বার কোনও দল কণাটকে জেতেনি। এবার, তাই আশায় বুক বেঁধেছে বিজেপি। তবে, চার বছর কেন্দ্রে সরকার চালানর পর তারাও প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার শিকার। এই পরিস্থিতিতে জেডি(এস)-এর হাতেই সরকার গড়ার চাবিকাঠি যেতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।