জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনার খুনি আফতাব পুনাওয়ালা তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করে। তারপর তার দেহ কেটে ৩৫ টুকরো করে ফেলে। প্রায় একই ঘটনা কর্ণাটকের বাগালকোটে। মাত্র কুড়ি বছরের এক তরুণ রাগে উন্মত্ত হয়ে প্রথমে বাবাকে খুন করে। তারপর দেহ ৩২ টুকরো করে ফেলে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। আফতার যেমন শ্রদ্ধার দেহাংশ দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ধাপে ধাপে ফেলে এসেছিল, কর্ণাটকের ওই যুবক অবশ্য তা করেনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কোনও ভাবেই দেখা যাবে না মেসিদের খেলা! জারি করলেন ফতোয়া...


কেন এমন নৃশংসতা? পুলিসকে অভিযুক্ত ভিথালা কুলালি(২০) জানিয়েছে, গত ৬ ডিসেম্বর ওই ঘটনা ঘটেছিল। রাগের মাথায় সে তার বাবা পরশুরাম কুলালিকে(৫৩) খুন করে। কারণ বাবার ছিল মদের নেতা। অধিকাংশ দিনই পুরশুরাম মদের নেশা করে বাড়ি ফিরতো। তারপর সে অন্য মানুষ। শুরু হতো গালিগালাজ। ঘটনার দিন এসব একটু বেশিই হয়েছিল। ওই দিন সন্ধেয় নেশাগ্রস্ত পরশুরাম বাড়ি ফিরে ভিথালাকে গালিগালাজ শুরু করে। এতেই মাথার ঠিক থাকেনি। লোহার একটি রড তুলে বাবার মাথায় মেরে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পরশুরামের। 


রোজই এরকম চিত্কার চেঁচামেচি হয় কিন্তু ওই দিন আচমকা ঘটে যাওয়া ওই ঘটনায় আর স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি ভিথালি। তবে সামলে নিয়ে বাবার দেহ কেটে ৩২ টুকরো করে ফেলে। এবার সেইসব টুকরো দেহাংশ বাগালকোটের একটি বোরওয়েলে ফেলে দেয়। এদিকে, প্রতিবেশীরা পরদিন পরশুরামের কোনও খোঁজ না পেয়ে ভিথালাকে জেরা শুরু করে। সন্দেহ হওয়া পুলিসে খবর দেওয়া হয়।


পুলিসের জোরায় গোটা ঘটনার কথা কবুল করে নেয় ভিথালা। কিন্তু দেহাংশ কোথায়? কুঁয়োর কথা শোনার পর বিপাকে পড়ে যায় পুলিস। শেষপর্যন্ত সেই কুঁয়ে খুঁড়ে দেহাংশ বের করার চেষ্টা শুরু করেছে পুলিস।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)