নিজস্ব প্রতিবেদন : এক সময়ে বিজেপির 'ক্রাইসিস ম্যানেজার' আবারও অ্যাসিড টেস্টের সম্মূখীন। তবে এবার আর বিজেপির প্রথম সারির নেতা হিসেবে নয়, কর্ণাটকের রাজ্যপাল হিসেবেই এই কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি তিনি। বাজুভাই বালা, যাকে ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর কর্ণাটকের রাজ্যপাল হতে বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী নিজেই। এবার তিনিই কার্যত কর্ণাটকের ক্রাইসিস ম্যানেজারের ভূমিকায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু। ২২৪ আসনের এই বিধানসভায় প্রথমিকভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছিল ২২২টি আসনে। তার মধ্যে ১০৪টি আসন পেয়ে বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। কিন্তু, ১১২-র ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে পারেনি তারা। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পেয়েছে ৭৮টি আসন। তবে, সরকার গড়ার পক্ষে যে দল সেখানে কিং মেকারের কাজ করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল, সেই জেডি(এস) জোট পেয়েছে ৩৮টি আসন।


বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে মঙ্গলবারই জেডিএস-কে বাইরে থেকে সমর্থন দিয়ে সরকার গড়তে চেয়ে রাজ্যপাল বালাকে চিঠি দিয়েছে কংগ্রেস। বৃহত্তম দল হিসেবে সরকার গড়ার আর্জি জানিয়েছে রাজ্যপালের কাছে বিজেপিও। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের ভূমিকার দিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি।


আরও পড়ুন- প্রার্থীপিছু বিজেপির বাজেট ১০০ কোটি, বিস্ফোরক কুমারস্বামী


পরপর তিনবার গুজরাট বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন বাজুভাই বালা। এছাড়া নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় ৯ বছর ধরে গুজরাটের অর্থমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০০২ সালে নিজের জেতা রাজকোট আসনটি তিনি স্বেচ্ছায় নরেন্দ্র মোদীকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। সেবছরই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হন মোদী। দীর্ঘদিন গুজরাট বিধানসভার স্পিকার ছিলেন বালা। দলের প্রতি তাঁর আনুগত্যকে বারবার উদাহরণ হিসেবেও তুলে ধরেছে বিজেপি।


১৯৯৬ সালে জেডিএস প্রধান এইচডি দেবেগৌড়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ ওঠে বিজেপির তত্কালীন রাজ্য সভাপতি বাজুভাই বালার বিরুদ্ধে। সেই সময় তাঁকে  দেবেগৌড়া ভর্ত্সনার শিকার হতে হয়। ফলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে, বজুভাইয়ের সিদ্ধান্তে সেই ঘটনার প্রভাব থাকবে না তো? কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে ব্যাকফুটে রেখে এবারও কি বিজেপির প্রতি আনুগত্য দেখাবেন তিনি?