নিজস্ব প্রতিবেদন: মেরিনা বিচেই করুণানিধির শেষকৃত্য হবে কিনা তা নিয়ে আইনি টানাপোড়েন তুঙ্গে। পরিস্থিতি আরও জটিল হল আদালতে দেওয়া তামিলনাড়ু সরকারের দেওয়া হলফনামায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার মেরিনা বিচে কালাইনারের শেষকৃত্যের অনুমতি দিতে অস্বীকার করে তামিলনাড়ু সরকার। এনিয়ে রাত দশটায় জরুরি ভিত্তিতে শুনানি শুরু হয় আদালতে। বিষয়টি নিয়ে আজ বুধবার সকাল আটটায় মাদ্রাজ হাইকোর্টে ফের শুনানি শুরু হয়েছে। তবে জটিলতা আরও বড় আকার ধারণ করেছে তামিলনাড়ু সরকারের দেওয়া নতুন হলফনামায়।



মেরিনা বিচে কোনওরকম শেষকৃত্য করা ‌যাবে না এই মর্মে মাদ্রাজ হাইকোর্টে মোট ৫টি জনস্বার্থ মামলা করা হয়। এর মধ্যে ৪টি মামলাই মঙ্গলবার প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার পঞ্চম মামলাকারী রামস্বামীর আইনজীবী আদালতে জানিয়ে দেন, মেরিনা বিচে কালাইনারের শেষকৃত্যে তার কোনও আপত্তি নেই। ওই কথা শোনার পর বিচারপতি বলেন, তাহলে আপনি মামলা প্রত্যাহার করুন। একথা শোনার পর আদালতে হলফনামা পেশ করে তাঁর আপত্তি না থাকার কথা জানিয়ে দেন রামস্বামী। ওই হলফনামার ভিত্তিতে রামস্বামীর করা মামলা বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট।


আরও পড়ুন-অটোয় সজোরে ব্রেক, বরানগরে মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু শিশুর


এদিকে রাজ্য সরকার আজ হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, মেরিনা বিচে করুণার শেষকৃত্যের অনুমতি দেওয়া ‌যাবে না। কারণ এনিয়ে বহু মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। পাশাপাশি এতদিন ‌মেরিনা বিচের গান্ধী মান্ডাপুরমে ‌যাঁদের শেষকৃত্যের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাঁরা সবাই মারা গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন। করুণানিধি প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, করুণানিধির শেষকৃত্যের জন্য সরকার আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই ২ একর জমির ব্যবস্থা করা হয়েছে।


উল্লেখ্য, মঙ্গলবার করুণানিধির মৃত্যুর পরই মেরিনা বিচে আন্নাদুরাইয়ের সমাধির পাশেই জায়গা চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করে ডিএমকে। পালানিস্বামী সরকার তা নাকচ করে দেয়। এর পরেই আইনি লড়াই শুরু হয়। তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম জি রামচন্দ্রন ও জয়ললিতার সমাধি রয়েছে মেরিনা বিচে। ফলে করুণারও শেষকৃত্যের অনুমতি দিতে হবে। এনিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে করুণা সমর্থকরা।


আরও পড়ুন-‘ছাত্রদের দাবি ন্যায্য’, প্রেসিডেন্সি ইস্যুতে পড়ুয়াদের পাশেই শিক্ষামন্ত্রী


গোটা বিষয়টি নিয়ে শুনানি চলছে মাদ্রাজ হাইকোর্টে। মামলা নিয়ে বলতে গিয়ে ডিএমকের আইনজীবী বলেন, রাজ্য সরকার রাজ্যজুড়ে শোক পালনের কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু শেষকৃত্যের জন্য জমি দিতে রাজি নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রোটকলের কোনও নেই ‌যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শেষকৃত্য মেরিনা বিচে করা ‌যাবে না। ডিএমকের প্রাণপুরষ ছিলেন করুণানিধি। তাঁর সমাধি গান্ধী মান্ডপুরমের বাইরে কোথাও হলে তাকে প্রয়াত নেতার প্রতি সম্মান জানানো হল বলা যায় না।