নিজস্ব প্রতিবেদন: কার্গিল-শ্রীনগরের রাস্তায় ধস নেমে আটকে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের কয়েক হাজার পর্যটক। লেহ থেকে ফেরার পথে মঙ্গলবার দুপুরে আটকে পড়েন তাঁরা। তারপর থেকে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন বাঙালি পর্যটকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে নবান্ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার শ্রীনগর-কার্গিল জাতীয় সড়ক ধরে এগোচ্ছিল পর্যটকদের গাড়ি। দুপুরে সোনমার্গ ও দ্রাসের মাঝে সাইতান নালায় ধস নামে। বন্ধ হয়ে যায় ৪৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ শ্রীনগর-কার্গিল সড়ক। দুপুরের পর থেকে আটকে পড়েন কয়েক হাজার পর্যটক। দুর্গম এলাকায় চরম বিপদে পড়লেও স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ পর্যটকদের। এরপর থেকেই খাবার ও পানীয় জলের সহ্কট শুরু হয়। সমস্যা আরও বাড়িয়েছে ব্যাঙ্ক ধর্মঘট। ATM-এও টাকা মিলছে না। অথচ, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খাবার ও জলের দাম। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না এইসব পর্যটকরা।


বাঙালি পর্যটকদের আটকে পড়ার খবর জানতে পেরেই তড়িঘড়ি খোঁজখবর নেন উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। কালিম্পং থেকেই নবান্নে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মুফতি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নবান্ন। কার্গিলের ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যের আধিকারিকরা। সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। পর্যটকদের পরিবার যাতে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে সে জন্য খোলা হয়েছে বিশেষ হেল্প লাইন। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই ধস কবলিত এলাকায় উদ্ধার কাজ শুরু করেছে সেনা ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় কাজ চালিয়ে যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা পরিষ্কারের চেষ্টা চলছে।


আরও পড়ুন- সিবিএসই-র দ্বাদশে বিজ্ঞান বিষয়ে প্রথম বাস চালকের সন্তান