নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জম্মু-কাশ্মীর সংরক্ষণ বিল প্রস্তাবের সময় বলেছিলেন, বিচ্ছন্নতাবাদীদের পরিবারের সদস্যরা দেশের টাকায় বিদেশে পড়াশোনা করছেন। আর জম্মু-কাশ্মীরে স্কুল কলেজ বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ বারে তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনা বিষয়টি আতস কাচের তলায় নিয়ে আসছে কেন্দ্র। জানা যাচ্ছে, কমপক্ষে এমন ২০০ পরিবারের তালিকা প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যাঁদের সন্তান হয় বিদেশে পড়ছে বা না হয় বসবাস করছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কেন্দ্র জানাচ্ছে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্ররোচনায় বনধে গত ৩ বছরে ২৪০ দিনের বেশি স্কুলে পঠন-পাঠন বন্ধ থেকেছে। এর জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে কেন্দ্র। সরকারের অভিযোগ, উপত্যাকায় স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে নিজের সন্তানদের বিদেশে পাঠানো হচ্ছে পড়াশোনা করাতে। আর সেই অর্থ জোগান দিচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষই। জেলে বন্দি দুখতারন-ই-মিলত প্রধান আয়েষা আন্দরাবির দুই সন্তান পড়েন মালয়েশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায়। হুরিয়ত নেতা বিলাল লোনের সন্তানরা কেউ অস্ট্রেলিয়া কেউ বা লন্ডনে পড়াশোনা করছেন। তেহরিক-ই-হুরিয়তের চেয়ারম্যান মহম্মদ আশরফ সেহরাইয়ের দুই সন্তান বিদেশে পড়াশোনা করে সৌদি আরবে কাজ করছেন। তেমনই হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান সায়েদ আলি শাহ গিলানের দুই নাতি পাকিস্তান ও তুরস্কে রয়েছে। কেন্দ্রের যুক্তি,  বিদেশে পড়ার যে বিপুল অর্থ, তা জোগান দেয় জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকরাই। ইতিমধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সরকারি আর্থিক সাহয্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন- বিশ্বকাপ মিটলেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ধোনি? জন্মদিনে জোর জল্পনা


জম্মু-কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্ট দলের প্রধান তথা প্রাক্তন আমলা শাহ ফয়জল কেন্দ্রের এই নীতির বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, কেউ বিদেশে পড়লে তার অধিকার সরকার কেড়ে নিতে পারে না। দেশের যে কোনও নাগরিক যদি বিদেশ পড়ার সুযোগ পায়, তাহলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সন্তানরাও সেই সুযোগ পাবেন। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পরিবারের অনেক সদস্য পাকিস্তান বা দেশের বাইরে অন্য কোথাও স্থায়ী বসবাস করছেন। সেই অর্থ কীভাবে আসছে,তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র। এর মধ্যে হাওয়ালা মধ্যামে আর্থিক লেনদেন হয় কিনা তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।