ব্যুরো: প্রবল শীতেও সন্ত্রাসে বিরাম নেই। বছরের শুরুতে কাশ্মীরে জঙ্গি নিশানায় সেনা ঘাঁটি। আখনুর সেক্টরে GREF-এর ঘাঁটিতে জঙ্গি হানায় মৃত্যু হয়েছে ৩ শ্রমিকের। এলাকা ঘিরে জঙ্গিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



বরফে মুখ ঢেকেছে কাশ্মীর। কিন্তু রেহাই নেই সন্ত্রাস থেকে। প্রবল শীতের মধ্যেই ফের উপস্থিতির জানান দিল জঙ্গিরা। ফের টার্গেট সেনা ঘাঁটি। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে আখনুর সেক্টর। সেখানেই GENERAL RESERVE ENGINEERING FORCE-এর ঘাঁটি। ভোররাতে GREF-এর এই ঘাঁটিতেই হামলা চালায় একদল জঙ্গি। মুলত রাস্তা তৈরির কাজে নিযুক্ত শ্রমিকরা ছিলেন ক্যাম্পে। এলোপাথাড়ি গুলি, পর পর গ্রেনেড বিস্ফোরণ। জঙ্গি হামলায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কয়েকজন শ্রমিকের। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। হামলার জেরে আখনুরের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। নজরদারি সড়কপথেও। বৈষ্ণোদেবীতে এখন তীর্থযাত্রীদের ভিড়। সেখানেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।



দুহাজার ষোলোয় বার বার রক্তাক্ত হয়েছে কাশ্মীর। কাশ্মীর বারবার- 


* ২৫শে জুন পুলওয়ামার পাম্পোরে CRPF কনভয়ে হামলায় ৮ জওয়ান শহিদ হন। 
 
* ১৮ই সেপ্টেম্বর উরি সেনাঘাঁটিতে জঙ্গিহানায় শহিদ হন ১৭ জন জওয়ান।
 
* ২৯ সেপ্টেম্বর বদলা নেয় ভারত। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে সার্জিকাল স্ট্রাইকে খতম হয় ৫০-এরও বেশি জঙ্গি।
 
* ২৯শে নভেম্বর ফের নাগরোটা সেনাক্যাম্পে জঙ্গিহানায় মারা যান সাত জওয়ান।
 
* ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত কাশ্মীরে ১৪৮ জন জঙ্গিকে খতম করেছে সেনাবাহিনী, সংঘর্ষে মারা গেছেন ৭৪জন নিরাপত্তাকর্মীও।



আখনুরে জঙ্গি হানার পর এলাকা ঘিরে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। গোয়েন্দাদের অনুমান, নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে বাতালগ্রামকেই অনুপ্রবেশের জন্য ব্যবহার করে জঙ্গিরা।