নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর দল থাকছে না, তা বৃহস্পতিবার আরও একবার স্পষ্ট করলেন কে চন্দ্রশেখর রাও। রাহুল গান্ধীকে ভাঁড় বলে কটাক্ষ করলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,''দেশের সবচেয়ে বড় ভাঁড় রাহুল গান্ধী। গোটা দেশ দেখেছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলিঙ্গনের পর চোখ টিপেছেন তিনি। উনি যত তেলেঙ্গানায় আসব, তত বেশি আসন পাব''।     



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিনই তেলেঙ্গানা বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার জন্য রাজ্যপাল ইসিএল নরসিমার কাছে সুপারিশ করেছেন কেসিআর। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সঙ্গেই তেলেঙ্গানায় বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কেসিআরের এই সিদ্ধান্তের জেরে সে রাজ্যে হতে চলেছে অকাল ভোট। বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে একটিও ভোট না দেওয়ার আবেদন করেছেন কেসিআর। তিনি বলেন,''দিল্লির কংগ্রেস সাম্রাজ্যের ঐতিহ্য বহন করছেন রাহুল গান্ধী। ওনাকে ভোট দিয়ে আমাদের দিল্লির ভৃত্য হতে দেবেন না''।  



কংগ্রেসকে নিশানা করলেও বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন না কে চন্দ্রশেখর রাও। অতিসম্প্রতি জানা গিয়েছিল, ২০১৯ সালে এনডিএ জোটে সামিল হচ্ছে টিআরএস। আর মোদীর সঙ্গে বৈঠকে সেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন কেসিআর। এদিন বিজেপির সঙ্গে জোট জল্পনায় জল ঢাললেন তিনি। কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কথায়, ''তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি একশো শতাংশ ধর্মনিরপেক্ষ দল। বিজেপির সঙ্গে কোনওভাবেই আমরা হাত মেলাব না। একাই ভোটে লড়াই করব''।  



২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁর সাফল্যের কথাও এদিন তুলে ধরেন কেসিআর। তাঁর বক্তব্য, ''২০১৪ সালের আগে বোমা বিস্ফোরণ, বিদ্যুত্, ও সাম্প্রদায়িক হিংসার মতো একাধিক বিষয় ছিল। কিন্তু সে সব থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি। কংগ্রেস নেতারা মাঠে নামলে সাধারণ মানুষই জবাব দেবেন''।    



গত সপ্তাহে বিশাল জনসভাতেই বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কেসিআর। ওই সভাতেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, কেন্দ্রের সাহায্য না নিয়ে চলতে চান তিনি। 


রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা ভোটের সঙ্গে বিধানসভার ভোট চাইছিলেন না কেসিআর। লোকসভার সঙ্গে ভোট হলে স্থানীয় বিষয়গুলি গুরুত্ব পাবে না বলে ধারণা তাঁর। এর প্রভাব পড়তে পারে বিধানসভার ভোটে।       


আরও পড়ুন- আশ্বাস দিয়েও সহযোগিতা মেলেনি, কেজরিকে তোপ দিব্যার; মুখ্যমন্ত্রীর কাঠগড়ায় কেন্দ্র