নিজস্ব প্রতিবেদন: কয়েক ফুট বরফের চাদরের নীচে চলে গিয়েছে কেদারনাথ। কিন্তু, তার মধ্যেও চলছে দর্শন। কেদারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে তোড়জোড়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাত্র ২ দিনের বরফপাত। আর তাতেই ফুটখানেক বরফের নীচে চলে গিয়েছে কেদারনাথ।পিছনেই কেদারনাথ শৃঙ্গ। আর সেখানেই এখন বরফের রাজত্ব। মাত্র ২ দিনের তুষারপাতেই জমেছে প্রায় ফুটখানেক বরফ। তাপমাত্রা চলে গিয়েছে হিমাঙ্কের নীচে (-৬)। কিন্তু তাতে এতটুকুও দমে যাননি দর্শনার্থীরা।


বরফ পড়ায় কোনও বিরাম নেই। রবিবার সকাল পর্যন্তও প্রশাসন নিশ্চিত ছিল না যে কেদারে আসা পর্য়টকরা মন্দির দর্শন করতে পারবেন কিনা! কিন্তু বেলা বাড়তেই সদয় হয়েছে প্রকৃতি। মেঘ কেটে বেরিয়ে পড়েছে ঝকঝকে নীল আকাশ। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই বিঁধতে শুরু করেছে কনকনে ঠান্ডা হাওয়ার তির। আর এসবের মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ। বেলচা দিয়ে বরফ সরিয়ে রাস্তা সাফ করছেন সেনাকর্মীরা। কারণ, কেদারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। 



আকাশে চক্কর দিতে শুরু করেছে টহলদারি চপার। বেড়েছে নিরারপত্তা। আর তো কদিন। দীপাবলির পরই তো এবছরের মতো বন্ধ হয়ে যাবে কেদার। তারপর পুজো হবে মধ্যমহেশ্বরে। আর শীত যখন আরো বেশি পড়বে তখন পুজো হবে তুঙ্গনাথে। শনিবার থেকে ব্যাপক তুফারপাত শুরু হয়েছে গঙ্গোত্রী আর যমুনেত্রীতেও। বদ্রিনাথেও চলছে  বরফপাত।


কেদারের সঙ্গে প্রবল তুষারপাত শুরু হয়েছে কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলপ্রদেশে। রাতভর বরফ পড়ায় উত্তরাখণ্ডের একাধিক জায়গা পুরু বরফের চাদরে ঢেকে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা। হিমাচলের হিল স্টেশনগুলি এখন পর্যটকে ঠাসা। শনিবার থেকে দফায় দফায় চলছে বৃষ্টি। সোমবার হতে পাসে শিলাবৃষ্টি। ফলে পিথোরাগড় থেকে দেরাদুন পর্যন্ত হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পড়ার আশঙ্কা।
 অন্যদিকে হিমাচলের বেশ কয়েকটি এলাকা তো প্রায় একফুট বরফের নীচে লে গিয়েছে। কিন্নর-কল্পা এখন কার্য়ত বিচ্ছিন্ন। সিমলাতে দফায় দফায় চলছে বৃষ্টি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাই ছয় থেকে সাত ডিগ্রির ওপর উঠছে না। লাহুল-স্পিতি তো হিমাঙ্কের নীচে চলে গিয়েছে। জরুরি পরিস্থিতির জন্য তৈরি প্রশাসন। তবে, কুলু-মানালিতে বরফের ভরপুর আনন্দ নিচ্ছেন পর্যটকরা।


ইতিমধ্যেই লাহুল-স্পিতির মধ্যে বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বরফে আটকে পড়া ষাটজনকে উদ্ধার করতে চালানো হয় স্পেশাল বাস। তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে মানালিতে। পাহাড়ের বেশি উঁচুতে যারা আছেন, তাদের খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন- আম্মার মুখে হাসি ফোটাচ্ছে বালক, দীপাবলির বিজ্ঞাপন ভাইরাল সোশ্যালে